বইমেলা: বাঙালির আত্মজাগরণের মন্ত্র

আরিফুর রহমান
 | প্রকাশিত : ৩০ আগস্ট ২০১৬, ১৭:৪৪

ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। মাসব্যাপী অনুষ্ঠিত এ মেলা ঘিরে লেখক, পাঠক, বইপ্রেমী, শিল্পী, প্রকাশক, দর্শনার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষের সম্মিলন ঘটে। বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যকে ধারণ এবং লালন করে প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। বাঙালির সর্বজনীন এ সাংস্কৃতিক উৎসবটির রয়েছে পৃথক মূল্য ও ভিন্নতর আকর্ষণ। বইমেলার গভীরে রয়েছে বাঙালির চেতনা ও আত্মজাগরণের মন্ত্র। মাতৃভাষাকে ভালোবাসার অনন্য আয়োজন। এ জন্যই একুশের বইমেলা আমাদের বাংলা ভাষার মেলা, বাংলা বইয়ের উজ্জ্বল প্রদর্শনী। প্রাণের এ মেলার মাধ্যমে বাঙালি তার আপন সত্তায় নিজেকে দেখার সুযোগ পায়। গত তিন বছর মেলার অভিজ্ঞতা ভালো ছিল না। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে গত তিন বছর মেলা ঠিকমতো জমেনি। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে ছিল অবরোধ। ঢাকার বাইরের লেখক-পাঠকরা মেলায় যোগ দিতে পারেননি। এছাড়া মেলার মাঝামাঝি সময়ে ঠুনকো কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয় একটি প্রকাশনীর স্টল। শেষদিকে দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত হলেন একজন লেখক। আশা করি এবারের মেলায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না। বইমেলার নিরাপত্তা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশা করি যতœবান হবেন। বাঙালির এই প্রাণের মেলা হয়ে উঠুক প্রাণবন্ত। দুই.

ঢাকার দুই সিটি মেয়রের উদ্যোগে রাজধানীতে চলছে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান। অবৈধ দখলমুক্ত, হকারমুক্ত করা হচ্ছে ফুটপাত। অপসারণ করা হয়েছে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের অবৈধ কার্যালয়। বাস টার্মিনাল, ট্রাক স্ট্যান্ডের বাইরে মূল সড়কে বাস-ট্রাক রাখা বন্ধ করা হচ্ছে। অপসারণ করা হচ্ছে যত্রতত্র গজিয়ে ওঠা অবৈধ বিলবোর্ড। তাদের এই কর্মতৎপরতা নিঃসন্দেহে অভিনন্দনযোগ্য। তবে মনে রাখা দরকার, এর আগেও নগরীতে নানা সময়ে ফুটপাতমুক্ত করার অভিযান, অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে কিন্তু সেগুলো টেকসই হয়নি। আমরা চাই এবারের অভিযান টেকসই হোক। অপরদিকে রাজধানীর গণপরিবহন ব্যবস্থায় চলছে নৈরাজ্য। ভয়াবহ ট্রাফিক জ্যাম, অপ্রতুল যানবাহন প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা ছিনিয়ে নিচ্ছে নাগরিকদের জীবন থেকে। এই অবস্থায় সরকার, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং বিশেষ করে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে রাজধানীতে তিন হাজার নতুন বাস নামানোর একটি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনাটি নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। নতুন তিন হাজার বাসের মধ্যে এসি-ননএসি দুটোই থাকবে। তবে বাসগুলো যেন সচল থাকে এবং টেকসই হয় তা নিশ্চিত করা দরকার। ঢাকা শহরকে যানজটমুক্ত করার লক্ষ্যে আরো যা যা উদ্যোগ নেওয়া দরকার তার সবই নিতে হবে এবং করতে হবে উদ্যোগের সফল বাস্তবায়ন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজপাট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা