ছয় বছরের শিশুকে আগুনের ছ্যাকা
কুমিল্লায় ছয় বছরের এক শিশুকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভিকটিমের নাম ইভা। সে কালিয়াজুড়ি মাজার সংলগ্ন মাহবুবুর রহমানের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতো। নির্যাতনের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে গৃহকর্ত্রী রোমনা আক্তার পলি ও তার স্বামী পলাতক রয়েছে।
শিশুটির বাবার নাম নুরু মিয়ার মেয়ে। তবে তার বাড়ির ঠিকানা কেউ জানে না। দুই বছর আগে মেডিকো ওষুধ কোম্পানির এরিয়া ম্যানেজার মাহবুবুর রহমানের বাড়িতে কাজ শুরু করে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার বিকালে ইভা বাসা থেকে পালিয়ে রাস্তায় আসলে নির্যাতনের বিষয়টি জনসম্মুখে প্রকাশিত হয়। শিশু ইভাকে দুই বছর আগে তার বাবা নুরু মিয়ার কাছ থেকে কিনে আনেন মাহবুবুর রহমান ও তার স্ত্রী রোমানা আক্তার পলি। ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, কাপড়-চোপড় পরিষ্কার, এমনকি রান্নাঘরেও কাজ করতো ইভা।
ইভা জানান, পলি খালা আমাকে শিক দিয়ে আগুনের ছ্যাকা দিয়েছে। কয়েকদিন আগে মাথায় রড দিয়ে আঘাত করেছে।
শিশুটি জানায়, আমি ওই বাসায় কাপড়-চোপড় ধোয়া ও ঘর পরিষ্কার করি। খালারা যখন বাড়ির বাইরে যায়, তখন আমাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে যায়। আজ দড়ি ছিড়ে আমি পালিয়ে বের হয়ে এসেছি।
এদিন শিশুটিকে উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দা ফারুক চৌধুরী। তিনি জানান, শিশুটি নির্যাতনের শিকার হয়ে কাদঁতে কাদঁতে বাসা থেকে দৌড়ে বের হয়ে যাওয়ার সময় আমার মোটর সাইকেলের সামনে পড়ে। আমি মোটর সাইকেল থামিয়ে এলাকাবাসীর কাছে শিশুটিকে নিয়ে যাই। তারপর শিশুটিকে কোতয়ালী থানা পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সালাহ উদ্দিন জানান, শিশুটি আমাদের হেফাজতে রয়েছে। গৃহকর্তা-গৃহকর্ত্রী পলাতক রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২২অক্টোবর/প্রতিনিধি/জেডএ)
মন্তব্য করুন