নাহিদ ইন লেনিন আউট

মহিউদ্দিন মাহী, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০১৬, ২২:২৬ | প্রকাশিত : ২৩ অক্টোবর ২০১৬, ২২:২৫

দুজনই একসময় ছিলেন বাম ধারার রাজনৈতিক দলের নেতা। দুজন একই সংগঠনের সভাপতি ছিলেন। পরে দুজনই যোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগে। হয়েছেন নেতাও। তাদের একজন নুরুল ইসলাম নাহিদ, অন্যজন নূহ উল আলম লেনিন।

স্বাধীনতার আগের বছর ১৯৭০ থেকে পরের বছর ১৯৭২ সাল পর্যন্ত ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন নুরুল ইসলাম নাহিদ। একই সংগঠনে ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত সভাপতি ছিলেন নূহ উল আলম লেনিন।

নাহিদ আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন ১৯৯৪ সালে, আর লেনিন ৯৭ সালে। নাহিদের পরে যোগ দিলেও লেনিন দলের গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হয়েছেন তার আগে। আর নাহিদ হয়েছেন শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক। তবে দুজনের মধ্যে বেশ কয়েকবার জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন নাহিদ। দুই দফায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। আর লেনিন কখনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি।

তবে দলের ২০তম সম্মেলনে এসে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যপদ হারিয়েছেন নূহ আলম লেনিন। তিনি ১৯ সদস্যের মধ্যে নেই। এই জায়গায় ঢুকেছেন দলের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক নুরুল ইসলাম নাহিদ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দলে নূহ আলম লেনিনের তেমন কোনো ভূমিকা ছিল না। তিনি সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হলেও শুধু মিডিয়ায় দুই-একটি বিষয়ে বক্তব্য-বিবৃতি দেয়ার মধ্যে তার কাজ সীমাবদ্ধ রেখেছেন। এ কারণেই তিনি বাদ পড়েছেন। আর নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। অবদান রেখেছেন দলেও। এসব বিবেচনায় সাবেক দুই কমিউনিস্ট নেতার মধ্যে থেকে নাহিদকেই বেছে নিয়েছেন দলীয় প্রধান।

নাহিদের রাজনীতিক হয়ে ওঠা

১৯৭০ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন নুরুল ইসলাম নাহিদ। জাহানারা ইমামের নেতৃত্বাধীন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির স্টিয়ারিং কমিটির এ সদস্য ছাত্ররাজনীতি ছেড়ে যোগ দেন সিপিবিতে। ১৯৯১ সালে তিনি সিপিবির সাধারণ সম্পাদক হন। ১৯৯৪ সালে কয়েকজন রাজনৈতিক সহকর্মীকে নিয়ে যোগ দেন আওয়ামী লীগে। এই সম্মেলনে সভাপতিমণ্ডলীর সদ্যস্য হওয়ার আগে গত কমিটিতে দলের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯৬ সালে তিনি সিলেট-৬ আসন থেকে আওয়ামী লীগের টিকিটে এমপি নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৮ ও ২০১৪ নির্বাচনে এমপি হন তিনি। বর্তমান সরকারের শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন তিনি। এর আগের মেয়াদের সরকারেও একই দায়িত্ব পালন করেন।

লেনিনের রাজনীতিক হয়ে ওঠা

১৯৭৩ থেকে ৭৬ সাল পর্যন্ত ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন নূহ উল আলম লেনিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষাজীবন শেষ করে যোগ দেন সিপিবিতে। সর্বশেষ সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। ১৯৯৭ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। দলটির সদ্য বিদায়ী কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন তিনি। তবে এবারের ২০তম কাউন্সিলে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য থেকে বাদ পড়েন। এককালের এই তুখোড় ছাত্রনেতা কখনোই অংশ নেননি সংসদ নির্বাচনে। ভবিষ্যতেও কোনো নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলেই জানিয়ে রেখেছেন।

(ঢাকাটাইমস/২৩অক্টোবর/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

দেশ গরমে পুড়ছে, সরকার মিথ্যা উন্নয়নের বাঁশি বাজাচ্ছে: এবি পার্টি

বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদ সালাম-মজনুর

নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে রিজভীর নেতৃত্বে মিছিল

মন্দিরে আগুন ও দুই শ্রমিক পিটিয়ে হত্যায় বিএনপির উদ্বেগ, তদন্ত কমিটি গঠন

প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় এদেশে আইনের প্রয়োগ হয়: রিজভী

দেশি-বিদেশি চক্র নির্বাচিত সরকারকে হটানোর চক্রান্ত করছে: ওবায়দুল কাদের

প্রতিমা পোড়ানোর মিথ্যা অভিযোগে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তি দিতে হবে: ছাত্রশিবির সভাপতি

আল্লামা ইকবালের ৮৫তম মৃত্যুবার্ষিকীতে মুসলিম লীগের আলোচনা সভা

সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার প্রতিবাদ জানাল রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন

ভারতীয় পণ্য বর্জন চলবে: ফারুক

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :