সাংগঠনিক সম্পাদক পদে খালিদ মাহমুদের হ্যাটট্রিক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০১৬, ২২:১১ | প্রকাশিত : ২৫ অক্টোবর ২০১৬, ২১:২৬

টানা তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি। ২০০৯, ২০১২ সালের সম্মেলনের পর এবারও উত্তরবঙ্গে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার কাজে তার ওপরই আস্থা রাখলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার ঘোষিত সম্পাদকমণ্ডলীর আংশিক কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আটজনের একজন তিনি।

বিএনপির টানা অবরোধের সময়েও উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় দলের সম্মেলন অনুষ্ঠান এবং বিএনপির জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনের বিরুদ্ধে সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে দলীয় রাজনীতিতে নিজের আসন পাকাপোক্ত করেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এছাড়া রংপুর বিভাগে জাতীয় পার্টির দুর্গ ভেঙে আওয়ামী লীগের রাজনীতির যে সম্প্রসারণ হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি সে ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছেন। উত্তরাঞ্চলে মঙ্গা দূর করার মিশনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পালন করে বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচিও বাস্তবায়ন করেছেন। কুড়িগ্রামসহ উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় প্রধানমন্ত্রী নিজেও একাধিকবার বিশাল জনসভা করেছেন। এসব জনসভা সফল করে তুলতেও তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন।

মাঠের রাজনীতির বাইরে টিভি টকশোতেও তিনি একজন জনপ্রিয় ও প্রাজ্ঞ বক্তা খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। আওয়ামী লীগের হয়ে শেখ হাসিনার উন্নয়ন রাজনীতির পক্ষে ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন যুক্তিতর্ক দিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে কাউন্টার পলিটিক্সেও তিনি বেশ পারঙ্গম।

দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ ও বিরল উপজেলা নিয়ে গঠিত দিনাজপুর-২ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নির্বাচিত এমপি খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর জন্ম ১৯৭০ সালের ৩১ জানুয়ারি। গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর জেলার বোঁচাগঞ্জ উপজেলার ধানতলায়। পিতার নাম মরহুম আবদুর রৌফ চৌধুরী ও মাতা রমিজা রৌফ চৌধুরী। তার পিতা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত এমপি (১৯৯৬-২০০১) ছিলেন। ছিলেন মন্ত্রিসভার সদস্যও। এখনো উত্তরবঙ্গে আওয়ামী লীগের রাজনীতির আলোচনায় বড় জায়গা করে নেয় রৌফ চৌধুরী পরিবারের অবদান। খোদ প্রধানমন্ত্রীও সম্মেলনের পরদিন গণভবনে এক স্মৃতিচারণায় এ পরিবারের বিভিন্ন অবদান নিয়ে অনেকক্ষণ কথা বলেন। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘রৌফ চৌধুরীকে গড়ে তুলেছিলেন আব্বা (বঙ্গবন্ধু), আর আমি গড়ে তুলেছি খালিদকে।’

উচ্চশিক্ষিত ও মার্জিত বাচনের সদালাপী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির বড় সংগঠক ছিলেন। দীর্ঘদিন দলীয় সভাপতির কার্যালয়ে ছিলেন। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। আলোচিত ১/১১ সময়ে কারান্তরীণ দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশ পালন করেছেন। শেখ হাসিনা মুক্তি আন্দোলন গড়ে তোলেছেন সেনা রক্তচক্ষুর সামনে দাঁড়িয়ে।

তিনি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। কেন্দ্রীয়ভাবে যেমন জনপ্রিয়, তেমনি বিরল-বোচাগঞ্জের মানুষের হৃদয়ে বিশাল জায়গা দখল করে নিয়েছেন তিনি। অবকাঠামো উন্নয়ন ও বিদ্যুৎ সংযোগসহ শিক্ষা-দীক্ষায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে তার নিজের নির্বাচনী এলাকায়। নির্বাচনী এলাকার সড়কে বের হলে রাস্তার দুই পাশে এমনিতেই শত শত মানুষ দাঁড়িয়ে যায়। তিনি তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। অনেকের বিভিন্ন আবদার মেটান। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যান। শিশু-কিশোরদের সঙ্গে গল্প করেন। তাদের অভাব-অভিযোগ শুনেন। স্থানীয় পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এলাকার উন্নয়নে তিনি দল ও প্রশাসনকে এক সুতোয় নিয়ে এসেছেন। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে দলকে সম্পৃক্ত করায় তার সুফল পেয়েছেন অনেক বেশি।

এদিকে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী তৃতীয় দফায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় খুশি তার এলাকার মানুষেরা। মঙ্গলবার দুপুরেই বিরল-বোচাগঞ্জে হাজার হাজার মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবে আনন্দ মিছিল করেছে।

(ঢাকাটাইমস/২৫অক্টোবর/টিএ/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :