পাঁচ বছরেও আলোরমুখ দেখল না রসুলপুর ব্রিজ
অর্থ বরাদ্দ না হওয়ায় পাঁচ বছর ধরে ঝুলে রয়েছে বরিশাল নগরীর বর্ধিতাংশের একটি অর্ধনির্মিত লোহার ব্রিজ। যার কারণে বেশ দুর্ভোগে রয়েছে নগরীর বর্ধিতাংশ রসুলপুর চরের প্রায় আট শতাধিক মানুষ।
স্থানীয়রা বলছেন, ব্রিজটি নির্মাণ না হওয়ায় নগরীর সাথে বিচ্ছিন্ন রয়েছেন তারা। যাতে করে তাদের সন্তানরা স্কুল এবং কলেজে যেতে বাধার মুখোমুখি হচ্ছে।
নগরীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন মোহাম্মদপুরবাসীদের সহজে নগরে যাতায়াতের জন্য ৮নং ওয়ার্ডে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় শওকত হোসেন হিরনের সময়। বিসিসির রেভিনিউ খাতে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় নির্মাণ কাজের মাঝামাঝি পর্যায়ে গিয়ে থেমে যায় ব্রিজের কাজ। ২০১৩ সালের নির্বাচনে শওকত হোসেন হিরনকে হারিয়ে সিটি মেয়র নির্বাচিত হন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আহ্সান হাবিব কামাল।
কামালের আমলেই আকস্মিকভাবে ভাঙনের কবলে পরলে ব্রিজটিকে মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে স্থানান্তরিত করে পোর্ট রোড সংলগ্ন আরেক দ্বীপচর রসুলপুরের সাথে সংযোগের জন্য জেল খালের মাথায় কসাইখানার বিপরীতে ব্রিজ নির্মাণ করার জন্য আনা হয়। কিন্তু প্রায় পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি ব্রিজটির নির্মাণ কাজ।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, বর্তমান মেয়রের মেয়াদকাল অর্ধেকটা পেরিয়ে গেছে। কিন্তু বিচ্ছিন্ন নগরবাসীর ভোগান্তি রোধে নেয়া হয়নি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।
ব্রিজ নির্মাণ বন্ধ থাকলেও ঠিকাদার শাহাদাৎ হোসেন জানান, নির্মান কাজ প্রায় সম্পন্ন, ব্রিজের পাটা বসানো হলেই কাজ শেষ হবে। কেনো পাটা বসানো হচ্ছে না- তা জানতে চাইলে তিনি বিসিসির ফান্ড থেকে অর্থ না পাওয়ার কথা জানান।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুজ্জামান জানান, ঠিকাদার বিল জমা দিয়েছেন। অর্থ সংকুলানের কারণে বিল দেয়া সম্ভব হয়নি।
ঠিকাদারকে কাজটি সম্পন্ন করার জন্য বহুবার অনুরোধ জানানো হয়েছে, যতদ্রুত সম্ভব সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
(ঢাকাটাইমস/২৮ অক্টোবর/প্রতিনিধি/এলএ)