অস্বাস্থ্যকর বেকারি পণ্যে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে বান্দরবানবাসী
নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই বান্দরবানে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু বেকারি। এগুলোর বেশ কিছু কারখানার পরিবেশ একেবারেই অস্বাস্থ্যকর। এসব প্রতিষ্ঠানের খাদ্যের মান নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। এ কারণে জনস্বাস্থ্য নিয়ে তৈরি হয়েছে ঝুঁকি।
জেলা সদরে বালাঘাটার ভরাখালীতে ‘সুপার স্টার ফুড’, কালাঘাটায় ‘পার্বত্য নীলাচল’, নিউ গুলশানে সমিল এলাকায় ‘চিম্বুক’, রোয়াংছড়ি বাসষ্টেশনের পাশে ‘অয়েল ফুড’ কারখানাসহ সুয়ালক ইউনিয়নের শেষ প্রান্তে হলুদিয়া এলাকার ন্যাচারাল পার্কের মূল ফটকে ‘রাজধানী’ নামে গড়ে তোলা হয়েছে বেশ কিছু কারখানা। কিন্তু এগুলোর কোন অনুমোদন নেই বলে জানিয়েছেন স্বীকার করেছেন এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকরাই।
ভরাখালী এলাকায় ‘সুপার স্টার ফুড’ কারখানার মালিক মো. ইসমাইল ঢাকাটাইমসকে বলেন, বিএসটিআই (বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন) এর কোন অনুমোদন না থাকলেও এই অনুমোদন নেয়ার চেষ্টা চলছে।
একাধিক কারখনায় গিয়ে দেখা গেছে, কারিগরদেরকে খালি হাতে নোংরা পোশাক পড়েই কাজ করতে দেখা গেছে। অথচ নিয়ম অনুযায়ী তাদেও হাতে দস্তানা ও মুখে মাস্ক পড়ার কথা। কারখানার ভেতওে পরিবেশ ভীষণ উত্তপ্ত। গরমে কারিগরদের শরীরের ঘাম মিশে যাচ্ছে খাদ্যদ্রব্যের সাথে।
খরচ বাঁচাতে শিশুদেরকে শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বেশ কিছু কারখানায়। আবার অনুমোদন না থাকায় সরকারি ফিও দেন না কারখানা মালিকরা।
শহরের কালাঘাটায় ‘পার্বত্য নীলাচল’ কারখানার মালিক নুর নবী ও সুপার স্টারের মালিক মো. ইসমাইল জানান, আয়কর কোন অফিসে পরিশোধ করা হয় তা তারা জানতেন না। কোন সময় আয়কর পরিশোধ করা হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দারা এসব কারখানার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। সালেহ আহম্মদ নামে স্থানীয় একজন ঢাকাটাইমসকে বলেন, প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় এসব কারখানা এভাবে গড়ে উঠেছে। তিনি বলেন, নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা এসব পাউরুটি, কেক, চানাচুর, বিস্কুট খেয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে মানুষ।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করতে কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
(ঢাকাটাইমস/২৮অক্টোবর/ডব্লিউবি)
মন্তব্য করুন