ভৈরবে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১

কিশোরগঞ্জ ভৈরবে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে একজন নিহত ও ৩০ জন আহত হয়েছেন। নিহতের নাম ব্যবসায়ী অহিদ মিয়া (৫০)।

উপজেলার রসুলপুর গ্রামে শনিবার সকালে এই সংঘর্ষ হয়।

আহতদের মধ্য যাদের ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে, তারা হলেন- আলাল মিয়া, লতিফ মিয়া, নজরুল ইসলাম, মো. আলী, মাসুদ, মজনু মিয়া। এছাড়া গুরুতর আহত ইকন মিয়া, বুলবুল আহমেদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার একই ঘটনায় ওই গ্রামে এই দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়। পুলিশ ও স্থানীয় রাজনীতিবিদ এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে শনিবার বিকালে মীমাংসার কথা ছিল। কিন্তু সকালে প্রতিপক্ষ নোরার বাড়ির গোষ্ঠীর লোকজন কিপিং বাড়িতে হামলা চালায়। ফলে নতুন করে এই সংঘর্ষ বাঁদে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, সাদেকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও কিপিং বাড়ির নেতা ফজলুল হকের অভিযোগ তাদের বাড়ির লোকজনকে নোরার বাড়ির গোষ্ঠীর নেতা মুসলিম মিয়ার নির্দেশে তাদের লোকজন স্থানীয় চকবাজারে যেতে প্রতিদিন বাধা দেয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে এই নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত বৃহস্পতিবারও চকবাজারে যাওয়ার সময় কিপিং বাড়ির কয়েকজনকে মারধোর করা হলে সংঘর্ষে সৃষ্টি হয়।

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বদরুল আলম তালুকদার জানান, দীর্ঘদিন বিরোধের জের ধরে ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছার আগেই সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। ফলে একজন নিহত হয় এবং কয়েকজন আহত হয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/৫ নভেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)