ভালোবাসায় সিক্ত হলেন এম আর খান
সর্বস্তরের মানুষের ভালোবাসা আর শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন বাংলাদেশের শিশু চিকিৎসার কিংবদন্তি জাতীয় অধ্যাপক এম আর খান।
রবিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এম আর খানের মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানান চিকিৎসক, শিক্ষক, বিশিষ্টজন, রাজনীতিবিদসহ সব স্তরের মানুষ। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে এ শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠিত হয়।
সকালে গ্রিন রোডের সেন্ট্রাল হাসপাতাল এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই দফা জানাজার পর বেলা পৌনে ১২টায় এম আর খানের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেয়া হয়।
নিজের প্রতিষ্ঠিত সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার বিকালে মৃত্যু হয় এই সজ্জন চিকিৎসকের, যিনি বহু জাতীয় প্রতিষ্ঠান, সংস্থা ও সংগঠন প্রতিষ্ঠায় যুক্ত ছিলেন।
সেন্ট্রাল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. ফরিদ উদ্দিন ফারুকী জানান, বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছিলেন অধ্যাপক এম আর খান। সম্প্রতি দেশে ও দেশের বাইরে কয়েক দফা অস্ত্রোপচার করা হয় তার দেহে।
স্বাধীনতা ও একুশে পদকজয়ী এই শিশু বিশেষজ্ঞের বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম আগেই মারা গেছেন। তাদের একমাত্র মেয়ে দৌলতুন্নেসা ম্যান্ডি।
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মিরপুরে এম আর খান প্রতিষ্ঠিত শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথ-এ নেওয়া হয় তার কফিন। পরে নেওয়া হয় তার হাতে গড়া উইমেন্স মেডিকেল কলেজে।
এম আর খানের মরদেহ নেওয়া হবে সাতক্ষীরায় তার গ্রামের বাড়িতে । শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী সেখানেই সমাহিত করা হবে তাকে।
(ঢাকাটাইমস/৬নভেম্বর/এমএম/মোআ)