তাহের ষড়যন্ত্র করেনি, জাসদ ষড়যন্ত্র করেনি

অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন
| আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০১৬, ১৮:৫৮ | প্রকাশিত : ০৭ নভেম্বর ২০১৬, ১৮:৫৩

১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর কী ঘটেছিল? এর প্রেক্ষাপটে যে বিপ্লব, প্রতি বিপ্লব হয়, তার কুশীলব কারা ছিলেন? এর সুফল পেয়েছেন কে? জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ তখন কেন সরকারে আসতে পারলো না? অভ্যুত্থানের অগ্রনায়ক কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তম কেন ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে ছিটকে পড়লেন? দেশের ইতিহাসের গোলযোগপূর্ণ সেই সময় খুব কাছ থেকে দেখেছেন তখনকার জাসদ নেতা, এখনকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন। ঢাকাটাইমসের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপে উঠে এসেছে অনেক অজানা তথ্য। এর প্রথম পর্ব প্রকাশ হলো আজ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন হাবিবুল্লাহ ফাহাদ

নভেম্বর নিয়ে বিভ্রান্তি থেকে যাচ্ছে, এর কারণ কী?

৭ নভেম্বরের ঘটনা এখনো ধোঁয়াশাই রয়ে গেছে। এর একটা কারণ হচ্ছে যে রাজনৈতিক লক্ষ্যকে সামনে রেখে অভ্যুত্থান হয়েছিল তা অর্জিত হয়নি। অভ্যুত্থানের নায়ক কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তম বা যে রাজনৈতিক দলটি (জাসদ) সহায়তা করেছিল তারা পরাজিত হয়েছিল।

পরাজয়টা কীভাবে হয়েছে?

কর্নেল তাহেরকে জীবন দিতে হয়েছিল। ফাঁসিকাষ্ঠে তাকে হত্যা করা হয়। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) ওপর নিপীড়ন নেমে এসেছিল। এই অভ্যুত্থানে বিজয়ী হয়েছিলেন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। শুধু বিজয়ীই নয়, তার বিজয়ের মধ্য দিয়ে প্রতিবিপ্লব হয়েছে। প্রতিবিপ্লবের নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন তিনি। বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থী শক্তি, যাদের দক্ষিণপন্থী শক্তি বললেও কম বলা হয়। এরা খুবই প্রতিক্রিয়াশীল।

দক্ষিণপন্থী শক্তি কারা?

এরা সরাসরি যুদ্ধাপরাধী। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি। তাদেরকে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সরকারে নিয়ে এসেছেন। তাদের হাতে জাতীয় পতাকা দিয়েছেন। এই শাসনটা দীর্ঘ সময় ধরে চলেছে। যদিও জিয়াউর রহমান নিজেও একটা ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে নিহত হয়েছেন। তার রাজনীতি দীর্ঘ দুই যুগের বেশি সময় ধরে অব্যাহত ছিল।

জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতায় এসেছিলেন। সে সময় রাজনৈতিক পট কি পরিবর্তন হয়েছিল?

জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর লেফটেন্যান্ট জেনারেল এরশাদ এবং এরপর খালেদা জিয়া এ রাজনীতি চালিয়ে গেছেন। এই সময়ে যুদ্ধাপরাধীরা ক্ষমতায় এসেছে। মুক্তিযুদ্ধের সব অর্জনগুলো ম্লান করে দেয়া হয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধকে নির্বাসিত করা। এমন একটা আবহের মধ্যে ৭ নভেম্বরের যে প্রকৃত ইতিহাস এর ঢাকা পড়ে গেল। কারা এই অভ্যুত্থান ঘটালো, তাদের কী উদ্দেশ্য ছিল- সেগুলো কোনোটাই জনসম্মুখে আসতে পারেনি।

নভেম্বরের সত্য ইতিহাস আড়ালে ছিল কেন?

বলা হয়, যারা পরাজিত হয় তাদের কথা এবং তাদের সঙ্গে যে সত্য জড়িয়ে থাকে তা প্রকাশিত হতে সময় লাগে। কখনো কখনো দীর্ঘ সময় লাগে। পৃথিবীর ইতিহাসে এমনও ব্যাপার আছে যে সত্য হারিয়ে যায়। কোনো সময় সেটা আত্মপ্রকাশ করে না। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ৭ নভেম্বরের অভ্যুত্থানের যে নায়ক ছিলেন কর্নেল তাহের এ বিষয়টা শেষ পর্যন্ত যে সচেতন মহলে আলোচিত হয়েছে। ধীরে ধীরে জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে গেছে। তার কারণ হচ্ছে, একটা বই।

কোন বইয়ের কথা বলছেন? কে লিখেছেন সেটা?

বইটির রচনা বাংলাদেশের কোনো সাংবাদিক করেনি। কোনো রাজনীতিবিদও করেননি। বইটি লিখেছিলেন, লরেন্স লিপশুলজ। যিনি একজন মার্কিন সাংবাদিক। সেই সময়টায় তিনি ফারইস্ট অব ইকনোমিক্যাল রিভিউয়ের একজন সংবাদদাতা ছিলেন। ওয়াশিংটন পোস্টের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার বইটির নাম ছিল- ‘দ্য আনফিনিসড রেভ্যুলেশন’। এর দুটো অংশ। প্রথম অংশটি হচ্ছে ‘‘তাহের’স লাস্ট টেস্টামেন্ট’’। দ্বিতীয় অংশটি- ‘মারডার অব শেখ মুজিব’। ১৯৭৭ সালে বইটি প্রথম বোম্বে থেকে বের হয়। পরে ১৯৭৯ সালে লন্ডনের জেড প্রেস থেকে বইটি আবার প্রকাশিত হয়।

বইটি প্রকাশের সময় তো জিয়াউর রহমান বেঁচে ছিলেন...

হ্যাঁ। জিয়াউর রহমান বইটি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ রাখে। নিষিদ্ধ থাকলেও কিছু মানুষের হাতে বইটি আসে। মানুষ কিছু জানতে পারে। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পরেই বইটির বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করে কর্নেল তাহের সংসদ। এর মধ্য দিয়ে এই ইতিহাস সম্পর্কে জানার পথ বিস্তৃত হয়।

এরশাদের সময়ও কি জাসদ কোনো অনুকূল পরিবেশ পায়নি?

এরশাদও জিয়ার মতো রাজনীতিই চালিয়ে যায়। ওই সময় কর্নেল তাহের কিংবা জাসদ কেউ কোনো আনুকূল্য পাননি। গণমাধ্যমও ছিল তাদের দখলে। তাদের মতো করেই প্রচারিত হয়েছে। এরপর খালেদা জিয়া ক্ষমতা এসেও একই কাজ করেছেন।

এরপর তো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। তখন?

১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ সরকার এল তখন কিছুটা হলেও কর্নেল তাহের এবং ৭ নভেম্বর সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রকাশিত হল। আমার মনে আছে। সেই সময় ৭ নভেম্বর বিটিভিতে একটা অনুষ্ঠান হয়েছিল কর্নেল তাহেরের ওপর। নাট্যকার মমতাজউদ্দীন আহমেদ পরিচালনা করেছিলেন। ওই সময় বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার আলোর মুখ দেখল। বিচার হলো। কিন্তু জাতির জনকের হত্যাকাণ্ডের গভীর অনুসন্ধান হয়নি। আর কর্নেল তাহের কিংবা ৭ নভেম্বর- এসব বিষয়ে সত্য প্রকাশে আওয়ামী লীগের কোনো আগ্রহই ছিল না। এরপর তো আবার বিএনপি ক্ষমতায় এল।

আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এলে তো কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল...

২০০৮ সালে ডিসেম্বরের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে। ২০১০ সালে আমাদের সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বেঞ্চ সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করে দেয়। জিয়াউর রহমান এই সংশোধনী এনেছিলেন। যার মধ্য দিয়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত সামরিক শাসনের যে ফরমান সেগুলোকে বৈধতা দেয়া হয় এবং ইনডেমনিটি দেয়া হয়। এ নিয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করার অধিকার রদ করা হয়। এই সংশোধনী যখন অপসারিত হল তখনই একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বাংলাদেশে ঘটে।

কী সেই ঘটনা?

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বেঞ্চে একটা রিট করা হয়। যেখানে বলা হয়- কর্নেল তাহেরের বিচারের নামে যে ফাঁসি হয়েছে সেটা একটা হত্যাকাণ্ড। সৌভাগ্যের কথা যে সেই রিটে মহামান্য হাইকোর্ট বিচারটি অবৈধ বলে একটা রুল ইস্যু করে। দীর্ঘ শুনানির মধ্য দিয়ে ২০১১ সালের ২২ মার্চ রায় হল। রায়ে বলা হল, কর্নেল তাহেরের ফাঁসি একটি ঠাণ্ডা মাথার হত্যাকাণ্ড। এজন্য একজনকে যদি দায়ী করা হয়, সেটা জিয়াউর রহমান।

শুনানিতে লরেন্স লিপশুলজ এসেছিলেন জবাববন্দি দিতে?

হ্যাঁ, দীর্ঘ শুনানিতে লরেন্স লিপশুলজকে আমেরিকা থেকে ডাকা হয়েছে। তিনি এসে আদালতে তার জবানবন্দি দিয়েছেন। আরও বহুজন জবানবন্দি দিয়েছেন। এগুলো নিয়ে যখন পত্রপত্রিকায় গুরুত্বপূর্ণ শিরোনাম হয়। এর মধ্য দিয়েও ৭ নভেম্বর সম্পর্কে ধারণা মানুষের হয়।

নভেম্বর নিয়ে বিএনপির অবস্থান কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন?

৭ নভেম্বর নিয়ে বিএনপি বলে এটা বিপ্লব ও সংহতি দিবস আর জিয়াউর রহমান হলেন তাদের নায়ক- বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে এটা ছিল তাদের একমাত্র ঘোষণা। এই মিথটা আস্তে আস্তে ভেঙে পড়তে শুরু করে। সাধারণ মানুষও জানতে শুরু করে, ৭ নভেম্বরের অভ্যুত্থানের নায়ক কর্নেল তাহের ছিলেন। জিয়াউর রহমানকে কারাগার থেকে বের করেছিলেন। জিয়া বিশ্বাসঘাতকতা করে তাহেরকে হত্যা করেছিলেন। এর পাশাপাশি আরেকটি ঘটনাও ঘটে।

কোন ঘটনার কথা বলছেন?

বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থী শক্তি বেশ শক্তিশালী। অনেক মিডিয়া তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। যদিও এখন তাদের নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ার সংখ্যা কম। তারপরেও দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারণে বিপুল সম্পদ করে নিয়েছে। তাদের অর্থনৈতিক শক্তি বেড়েছে। এর পেছনে বিএনপি নয়, মূল শক্তি জামায়াত। হাইকোর্টের রায়ের পর যখন তারা দেখল যে অনেক সত্য ফাঁস হয়ে গেছে। তখন তারা আরও ব্যাপক উদ্যোমে উঠে পড়ে লাগলো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাসদ এবং কর্নেল তাহেরের বিরুদ্ধে ব্যাপক অপপ্রচার শুরু করল। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা, খালেদ মোশাররফকে হত্যাসহ বাংলাদেশের সব দুর্গতির জন্য দায়ী করা হয় কর্নেল তাহেরকে। অথচ কর্নেল তাহের কোনো প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের সঙ্গেই ছিলেন না।

এখনও কারা কর্নেল তাহের কিংবা জাসদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে?

এই সময়টাতে যখন ধোঁয়াশা কেটে যাচ্ছিল তখন স্বাধীনতাবিরোধীরা আবার বিপুল শক্তি নিয়ে মাঠে নামে। আমরা লক্ষ করি বিভিন্ন গবেষক বের হয়। যেমন এনজিও কর্মকর্তা হয়ে যায় বড় গবেষক। তারা এমন বিভ্রান্তিকর চমক সৃষ্টিকারী খবর দিতে থাকে যেমন কর্নেল তাহের নাকি বলেছেন যে, শেখ মুজিবের লাশকে আমি বঙ্গোপসাগরে ভাসাবো। এগুলো সব উদ্ভট। কর্নেল তাহের তো ঘোষণা দিয়েই সেনাবাহিনী ছেড়ে দিয়েছিলেন ১৯৭২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। তিনি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাথে যুক্ত হয়েছেন। একটা অভ্যূত্থানের মধ্য দিয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল ক্ষমতা দখল করবে কেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে সম্পূর্ণতা দান করতে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নকে ফিরিয়ে আনবে।

বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে জাসদের বিরোধটা কোথায় ছিল?

বঙ্গবন্ধু সঙ্গে একটা নীতিগত বিরোধের জন্য তারা বিরোধী অবস্থান নিয়েছে। কিন্তু তাহের কখনো ষড়যন্ত্র করেনি। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল কখনো ষড়যন্ত্র করেনি। ষড়যন্ত্র করলে তাহের থাকতেন সেনাবাহিনীতে। খোদ আওয়ামী লীগের ভেতর থেকে ষড়যন্ত্র হয়েছে। জাসদের ভেতরে হয়নি।

বঙ্গবন্ধুর ব্যাপারে কর্নেল তাহেরের অবস্থান কি ছিল?

এখানে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ যে, যখন বঙ্গবন্ধুকে মেরে ফেলে এবং পরে কর্নেল তাহেরের আবার গোপন বিচার হচ্ছিল, তখন তাহের তার জবানবন্দিতে বলেছেন জাতির জনক। সে সময় তো আওয়ামী লীগের লোকজনও বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক বলে না। তিনি তো আর বেঁচেও নাই। লরেন্স লিপশুলজের বইতে বলা আছে, জেলখানার অভ্যন্তরে জবানবন্দিতে তাহের বলছেন, ‘দে হ্যাভ কিল্ড ফাদার অব দ্য নেশন’।

যারা জাসদকে দায়ী করে বক্তৃতা-বিবৃতি দেন তারা আসলে কারা?

এই সময়ে এসে যখন ওইসব গবেষকরা নানারকম কথাবার্তা বলেন তখন বুঝতে হবে এদেরকে নিয়োগ করা হয়েছে। যেমন দৈনিক প্রথম আলো ভুঁইফোঁড় গবেষকদের লেখাগুলো গুরুত্ব দিয়ে ছাপতে শুরু করে। এগুলোর মধ্য দিয়ে মানুষের মধ্যে আবার বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে। মাঝেমধ্যে দেখি এসব সদস্যদের এই টেলিভিশন, ওই টেলিভিশন ধরে নিয়ে যায়। তারা এসব কথা বলতে থাকে।

আওয়ামী লীগের নেতারাও তো মাঝেমধ্যে জাসদ নিয়ে কথা বলেন।

কর্নেল তাহের এবং জাসদের বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায় আওয়ামী লীগের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নেতা। যেমন- শেখ সেলিম, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এবং মাহবুব-উল হক হানিফের মতো নেতারাও একই সুরে কথা বলেন। বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এই লেখাগুলো সেই লোক যারা এক-এগারোর সময় আওয়ামী লীগের ভেতরেও আরেকটি শক্তি হয়ে উঠেছিল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। সুতরাং একটা অশুভ আঁতাত সৃষ্টি হয়ে যায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে। আবার জাতীয় পার্টির নেতা, একসময় আওয়ামী লীগ করতো কাজী ফিরোজ রশীদ এই লোকগুলো প্রচারণায় অংশ নেয়। এতে মানুষ কিন্তু বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। কারণ মানুষ দেখে আওয়ামী লীগের লোকজনও এদের বিরুদ্ধে বলে। তাহলে বোধ হয় সত্যতা আছে।

খালেদ মোশাররফকে হত্যার ব্যাপারেও কিন্তু কর্নেল তাহেরকে দায়ী করা হয়। কী বলবেন?

খালেদ মোশাররফকে হত্যা করেছে তার ইউনিটের দুজন অফিসার। তারা সাধারণ সৈনিক নয় কিংবা বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার কেউ না। সেই দোষটাও চাপিয়ে দেয়া হয় কর্নেল তাহেরের ওপর। এ ধরনের মিথ্যাচারগুলো থাকার কারণেই আমি যেটা শুরুতে বলেছিলাম, এখনও ৭ নভেম্বরের ঘটনাবলি ধোঁয়াশায় ঢাকা। কিন্তু এই অবস্থা তো দীর্ঘদিন চলবে না।

আগামীকাল দ্বিতীয় পর্ব: জিয়া চালাকি করেছিলেন

সংবাদটি শেয়ার করুন

সাক্ষাৎকার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

সাক্ষাৎকার এর সর্বশেষ

‘স্থিতিশীল সামষ্টিক অর্থনীতির স্বার্থে সরকারকে ভারসাম্যমূলক নীতি-উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে’: ড. আতিউর রহমান

প্রতি মুহূর্তেই মনে হচ্ছিল আর্মিরা ধরে নিয়ে যাবে: ফরিদা খানম সাকি

দাম বাড়ালে এতক্ষণে কার্যকর হয়ে যেত: ক্যাব সহ-সভাপতি নাজের হোসাইন

জন্ম থেকেই নারীদের যুদ্ধ শুরু হয়: নারী উদ্যোক্তা ফরিদা আশা

নারীরা এখন আর পিছিয়ে নেই

ভবন নির্মাণে সিটি করপোরেশনের ছাড়পত্র নেওয়ার নিয়ম করা উচিত: কাউন্সিলর আবুল বাশার

তদারকি সংস্থা এবং ভবন নির্মাতাদের দায়িত্বশীল হতে হবে: অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান

বেইলি রোডের আগুনে রাজউকের ঘাটতি রয়েছে: মো. আশরাফুল ইসলাম

নতুন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে ভবন অনুমোদন দিতে হবে: ইকবাল হাবিব

বীমা খাতে আস্থা ফেরাতে কাজ করছি: আইডিআরএ চেয়ারম্যান জয়নুল বারী

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :