‘দুর্নীতির মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৪ জুলাই ২০১৭, ১৫:৪৬ | প্রকাশিত : ০৯ নভেম্বর ২০১৬, ১৯:২৪

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদকের) করা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। প্রধান বিচারপতি আদেশক্রমে হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন স্বাক্ষরিত এই সার্কুলার বুধবার জারি করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে সার্কুলারেরর অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশে বিচার ব্যবস্থায় দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে বারবরই বিশেষজ্ঞরা নানা কথা বলে আসছেন। অন্যান্য মামলার মতো দুর্নীতি মামলার বিচারও আটকে থাকে বছরের পর বছর। বিচার আটকে থাকায় বিলুপ্ত দুর্নীতি দমন ব্যুরোর বিপুল সংখ্যক মামলা প্রত্যাহার করে নেয়। ব্যুরোর আমলে দুই দশক এবং তার আগের করা মামলাও এখন শেষ হয়নি।

দুর্নীতি মামলার বিচার বছরের পর বছর আটকে থাকা নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন নানা সময় তার অসন্তোষ জানিয়েছে। এমনকি এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আলাদা বেঞ্চ গঠনেরও তাগিদ দেওয়া হয়েছিল কমিশনের পক্ষ থেকে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান তার দায়িত্বে থাকাকালে বলেছিলেন, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া দুর্নীতির লাগামছাড়া বিস্তারের প্রধান কারণ। কারণ, দুর্নীতিবাজরা মনে করতে পারেন, দুর্নীতি করলে কিছুই হয় না।

দুদকের বর্তমান চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদও তার সাম্প্রতিক সংবাদ সম্মেলনে দুর্নীতি মামলায় দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছেন।

এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিমকোর্টের এই নির্দেশনাকে কীভাবে দেখছেন, জানতে চাইলে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ঢাকাটাইমসকে বলেন, এই নির্দেশনা খুবই ইতিবাচক। এটি কার্যকর হলে দুর্নীতি মামলা দ্রুত নিস্পত্তি হবে। এতে দুর্নীতি নির্মূল করা অপেক্ষাকৃত সহজ হবে।

সার্কুলারে যা আছে

সুপ্রিমকোর্টের সার্কুলারে বলা হয়, দুদক আইনে দায়ের হওয়া মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিভাগীয় বিশেষ জজ ও বিশেষ আদালত গঠন করা হয়েছে। এসব আদালতে দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা আমলে নেওয়ার তারিখ থেকে পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে বিচার কার্যক্রম শেষ করার জন্য ‘দ্য ক্রিমিনাল ল’ সংশোধন আইন-১৯৫৮ এর সুনির্দিষ্ট বিধান রয়েছে।

সার্কুলারে আরও বলা হয়, ‘সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে অধিকাংশ জেলার দায়রা ও মহানগর দায়রা জজরা দুর্নীতির সব মামলা বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় বিশেষ জজ ও বিশেষ জজ আদালতে পাঠাচ্ছেন না। কিছু মামলা নিজ আদালতেই রেখে দিচ্ছেন। কিছু ক্ষেত্রে তার অধীনস্থ অতিরিক্ত দায়রা জজ ও যুগ্ম-দায়রা জজ আদালতে পাঠাচ্ছেন। ফলে বিভাগীয় বিশেষ জজ ও বিশেষ জজ আদালতগুলোয় দুর্নীতি মামলার স্বল্পতা দেখা দিচ্ছে। এতে বিভাগীয় বিশেষ জজ ও বিশেষ জজ আদালতগুলোয় দুর্নীতির মামলা আইনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি হচ্ছে না।’

এমতাবস্থায় সব জেলা ও দায়রা জজ এবং মহানগর দায়রা জজকে দুর্নীতির মামলা দ্রুততর সময়ের মধ্যে বিচার ও নিস্পত্তির জন্য বিভাগীয় বিশেষ জজ বা বিশেষ জজ আদালতে প্রেরণ এবং আইনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি জন্য নির্দেশ দেওয়ার কথা জানানো হয় সার্কুলারে।

(ঢাকাটাইমস/০৯নভেম্বর/এমএবি/ডব্লিউবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :