জেএসসি পরীক্ষার্থীদের ওপর হামলা: মামলা হলেও গ্রেপ্তার নেই

প্রকাশ | ১১ নভেম্বর ২০১৬, ২০:১৭ | আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৬, ২১:১৬

শরীয়তপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

শরীয়তপুরের সদর উপজেলার বিনোদপুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ জেএসসি পরীক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের হলেও শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার রাতে পালং মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল মিয়া। মামলার আসামিরা হলেন-সদর উপজেলার উপরগাঁও গ্রামের ছালাম দেওয়ানের ছেলে শামীম দেওয়ান (২৪), মোকলেছ দেওয়ানের ছেলে আরিফ দেওয়ান (২৩), আজিদ দেওয়ানের ছেলে আমীর হোসেন দেওয়ান (২১) ও দিলু মুন্সীর ছেলে আবুল মুন্সী (২২) সহ চারজন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বাবুল মিয়া বলেন, প্রতিদিনই শামিম দেওয়ানসহ আরও কয়েক বখাটে এক পরীক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করে। প্রতিবাদ করলে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর হামলা করে আহত করে তারা। আমি এর বিচার চাই। তাই বাদী হয়ে পালং মডেল থানায় ৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছি। আসামিদের সর্বোচ্চ বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে ঘটনার কারণ সম্পর্কে এলাকায় পরস্পর বিরোধী তথ্য পাওয়া গেছে। 

সরেজমিনে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কিছুদিন আগে বিনোদপুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট খেলা দেখতে গেলে স্থানীয় কয়েকজন শামীমকে মারধর করে।

এর জের ধরে বৃহস্পতিবার দুপুরে জসিম, সাইফুলসহ বিদ্যালয়ের কয়েকজন জেএসসি পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে যাওয়ার সময় উপুরগাঁও গ্রামের কাছে শামীমসহ কয়েকজন তাদের ওপর চড়াও হয়ে মারধর করতে থাকে। এ সময় অটোবাইকে থাকা ৪/৫ জন জেএসসি পরীক্ষার্থী ছাত্রী চিৎকার শুরু করলে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বিদ্যালয়ে পৌঁছে দেন। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ইতি, মীম, সুরমা, রহিমা, জসিম, সজীব, সাইফুল, কাওসার ও মাসুদ নামে ৯ শিক্ষার্থীকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

কিন্তু শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মেয়ে শিক্ষার্থীরা ঐ রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় প্রায়ই বখাটে ছেলেরা বিরক্ত করে। এর প্রতিবাদ করার কারণেই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

তুলাসার ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন বলেন, আগের একটি খেলাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট ঝগড়া থেকে বৃহস্পতিবার হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এখানে মেয়েদের বিরক্ত করার কোনো বিষয় নেই। গ্রাম্য দলাদলির কারণে এই পক্ষকে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা ইভটিজিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এক শিক্ষার্থীর অভিবাবক আবু তালিব বলেন, ঐ এলাকায় কিছু বখাটে ছেলে রয়েছে। তারা স্কুলগামী মেয়েদের নিয়মিত বিরক্ত করে। এর প্রতিবাদ করাতেই কোমলমতি শিক্ষার্খীদের মারধর করা হয়েছে।

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, পরীক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। আমরা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।

(ঢাকাটাইমস/১১নভেম্বর/প্রতিনিধি/ইএস)