সেই কবিতা লিখেননি হেলাল হাফিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০১৬, ২১:৫৮ | প্রকাশিত : ১২ নভেম্বর ২০১৬, ১৫:৪৭

বঙ্গবন্ধুকে স্বৈরাচারী এবং জিয়াউর রহমানের প্রশংসা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসুবুকে ছড়িয়ে পড়া কবিতাটি লেখার অস্বীকার করেছেন কবি হেলাল হাফিজ। ফেইসবুকে ছড়ানো ওই কবিতাটি একটি পত্রিকাও প্রকাশ করেছে।

হেলাল হাফিজ এখন শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং তার চিকিৎসার ভার নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সময় বঙ্গবন্ধুকে অসম্মান করে কার লেখা কথিত কবিতাটি ছড়িয়ে পড়ায় আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। যদি এই কবি সত্যিই এমন কোনো লেখা লিখেন তাহলে তাকে কেন প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসা সহায়তা দেবেন- সে প্রশ্ন করছেন অনেকেই।

কথিত ওই কবিতাটি পরে গান হিসেবে বিটিভিতে উপস্থাপন হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রচারে। আওয়ামী লীগপন্থি হিসেবে পরিচিত গণসঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীর ওই গান গেয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে এসব প্রচারে।

এ নিয়ে ঢাকাটাইমস কথা বলেছে হেলাল হাফিজ ও ফকির আলমগীর- দুই জনের সঙ্গেই। হেলাল হাফিজ বলেছেন, ওই কবিতা তিনি লিখেননি। ফকির আলমগীরকে যদি কেউ বলে থাকে তার গাওয়া ওই গানটি হেলাল হাফিজ লিখেছেন- তাহলে সেটা তাকে মিথ্যা বলা হয়েছে।

ফকির আলমগীরও বলেছেন, যে গানটির কথা ছড়ানো হয়েছে, তার গাওয়া গানের ভাষা এমন ছিল না। আর তিনি যে গান তখন গেয়েছেন, সেটিও হেলাল হাফিজের লেখা না।

হেলাল হাফিজ ঢাকাটাইমসকে জানান, ‘জনতার জিয়া’ শিরোনামে যেই কবিতা তার নামে ছড়ানো হচ্ছে এটা তিনি লেখেননি। দৈনিক দেশ পত্রিকায় তার নামে এই কবিতা ছাপা হয়েছিলো তাও মিথ্যা। শুধু তাই নয়, তিনি জিয়া পরিষদের সভাপতি ছিলেন বলে প্রচার আছে তাও মিথ্যা বলে দাবি করেছেন হেলাল হাফিজ।

গত শুক্রবার বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ‘জনতার জিয়া’ শিরোনামে কোনও কবিতা কবি হেলাল হাফিজ লিখেছেন কিনা এমন প্রশ্ন করে ফেইসবুকের একটি স্ট্যাটাসকে ঘিরে বিষয়টি সামনে চলে আসে। পরে এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাউর হয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রচারের ওপর ভিত্তি করে একটি সংবাদপত্র ওই কথিত কবিতাটি প্রকাশ করে। এরপর তা আরও ছড়িয়ে যায়।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ফকির আলমগীর ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘এখন হেলাল হাফিজকে সরকার কিছু টাকা পয়সা দিচ্ছে তো, তাই তার নামে বদনাম ছড়াচ্ছে কেউ কেউ।’

(ঢাকাটাইমস/১২নভেম্বর/বিইউ/ডব্লিউবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :