সংবাদ সম্মেলনে দাবি পরিবারের

বরিশালের কারাফটক থেকে সাত হুজি সদস্য নিখোঁজ

বরিশাল প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ নভেম্বর ২০১৬, ১৬:৫৯

একটি বিস্ফোরক মামলায় জামিন পেয়ে বরিশালের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বেরিয়ে আসার সময় সাত হুজি সদস্য নিখোঁজ হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার দুপুরে ওই সাত আসামির সন্ধান চেয়ে সংবাদ সম্মেলেন করেছে তাদের পরিবারের সদস্যরা।

দুপুরে বরিশাল প্রেসক্লাবের সাংবাদিক মাইনুল হাসান স্মৃতি মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন, ২০১৩ সালে নলছিটি থানায় হওয়া বিস্ফোরক মামলার আসামি ও উপজেলার নাচল মহল গ্রামের মাছুম বিল্লার ছেলে বাকি বিল্লাহ্, মান্নান খানের ছেলে মো. নুরুল ইসলাম, নুরুল ইসলামের ছেলে মো.সোহাগ, মো. ইউসুব আলীর ছেলে মো. যোবায়ের, আব্দুল রউফ মৃধার ছেলে মো. আবুল বাশার, মোকছেদ আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম ও হায়দার আলীর ছেলে মিনহাজুল।

নিখোঁজদের পরিবারের পক্ষে বাকি বিল্লার বড় বোন হাফছা বেগম সংবাদ সম্মেলনে জানান, ২০১৩ সালের একটি মামলায় নয়জনকে আটক করে পুলিশ। পরে ঝালকাঠির একটি আদালতে বিচার শেষে একজন খালাস পান এবং বাকি আট আসামির বিরুদ্ধে চার বছরের সাজা হয়। পরবর্তী সময়ে ঝালকাঠি কারাগার থেকে তাদের বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। গত ৭ অক্টোবর উচ্চ আদালত তাদের জামিনে মুক্তির নিদের্শ দেন। সেই অনুযায়ী গত ১০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টায় আটজনের মধ্যে সাতজনকে মুক্তি দেয় কারা কর্তৃপক্ষ।

হাফছা বেগম অভিযোগ করেন, ‘কিন্তু কারাগারের প্রথম ফটক থেকে বের হয়ে আসা মাত্র কারা অভ্যন্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে অবস্থান করা একটি কালো ও একটি সাদা মাইক্রোবাসে ওই সাতজনকে জোর করে তোলা হয়। এ সময়ে তারা (মুক্ত আসামিরা) ডিবি ডিবি পুলিশ বলে চিৎকার করে। এর কিছুক্ষণ পর গাড়ি দুটি সেখান থেকে বের হয়ে যায়।’

হাফছা বেগম বলেন, ‘মুক্তিপ্রাপ্ত সাতজনের সন্ধানে আমরা (স্বজনরা) বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা, মেট্রোপলিটন ডিবি কার্যালয়, ঝালকাঠি ডিবি, ঝালকাঠি কারাগার ও নলছিটি থানায় খোঁজ নিই। কিন্তু কোনো খোঁজ পাইনি।’ বরিশাল কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে তাদের অসহযোগিতা করা হয় বলে অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলনকারীরা বলেন, তাদের অভিযোগ দুই দিন ধরে ডায়ারিভুক্ত করা হয়নি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে তত্ত্বাবধায়ক (সিনিয়র জেল সুপার) মো. কামাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালতের নির্দেশ মোতাবেক আসামিদের যাচাই-বাছাই শেষে সাতজনকে মুক্ত করে দিয়েছি। একজনের বিরুদ্ধে অন্য একটি মামলা থাকায় তাকে ছাড়া হয়নি। কারাগারের বাইরে কী হয়েছে তা আমাদের জানার কথা না। আর এ বিষয়ে কিছু জানিও না।’

বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি মডেল থানার সহকারী কমিশনার মো. আজাদ রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিখোঁজসংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ থানায় জমা দিলে তা আমাকে অবহিত করা হতো। এ ধরনের অভিযোগের বিষয়ে আমাদের কিছু জানা নেই। তার পরেও বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’

পুলিশ জানায়, ২০১৩ সালের ১৪ আগস্ট ঝালকাঠিতে একটি মাদ্রাসায় গোপন বৈঠকের সময় ওই হুজি সদস্যদের আটক করে পুলিশ। সে সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় গ্রেনেড, আগ্নেয়াস্ত্র, জঙ্গি বই ও হুজির লিফলেট। তখন বিস্ফোরক, অস্ত্র এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইনে প্রত্যেকের নামে তিনটি করে মামলা করে পুলিশ। (ঢাকাটাইমস/১৩নভেম্বর/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :