বিপরীত অবয়বে
বন্য স্বপনেও কাছে পেতে চাইনি,
চাইনি সুদর্শনা, মনোহরিণী, মনোমোহিনীর কম্পিত ঠোঁট স্পর্শ করুক ,
বন্ধু ভেবেছি তারে, বিশ্বাস দিয়ে আগলে রেখেছিলাম জনম জনম!
মৃদু নিষ্পাপ হাসি, ক্রমশই আচ্ছন্ন করছিলো,
ক্রমশ বুকের কম্পনের গতি তীব্র থেকে তীব্রতর,
অনভূতির পরিবর্তন জোয়ার-ভাটায়,
স্পর্শকাতর রূপ লাবণ্য , শুভ সকালের সদ্য ফোঁটা কলি,
ফোঁটা ফোঁটা জলকণার আকর্ষণে উম্মাদ, অপলক দৃষ্টি!
প্রার্থনায় প্রভুকে স্মরণ, হস্ত মুঠোয় প্রতিচ্ছবি,
নাস্তিক করে মুহূর্তে, বন্ধ চোখে দৃষ্টি গোচরে ময়ূরের নৃত্য
বোবা মুখে শোকরানা ‘সুবাহান আল্লাহ’।
পানীয় গ্লাসে, আর্শিতে, স্নানাগারে, পথেঘাটে, চলার পথে
উরবর্ষী, ষোড়শী, অষ্টাদশী,বল্গা হরিণী, ভুবন মোহিনী
আটপৌড়ে শাড়িতে কোনো এক শ্বাশত বাংলার নারী।
বাস্তবতা, হৃদয় ভেঙে করে খান খান
মনের আঙিনায় রক্ত প্লাবন, চলে যায় যখন ভিন্ন মালিকানায়!
বিনিদ্র রজনী কেটেছে কতো!
ভালোবাসার মাধুরী মিশিয়ে মনের ক্যানভাসে এঁকেছি কতো ছবি!
অস্বীকার করার জো নেই, বুকের চাতালে নেই, প্রেমহীন শূন্যস্থান,
জানি, এ অন্যায়, ক্ষমা চাইতে হবে,
বলা হয়নি কোনোদিন ভালোবাসি!
সুখহীন জীবনের প্রত্যাশা প্রশান্তির,
হাঁটু গেড়ে দু হাত ছুঁয়ে একবার বলতে চাই ,
ভালোবাসতাম, ভালোবাসি, ভালোবাসব, জানি এ অন্যায়!
বন্ধুত্বের আড়ালে লুকানো ভালোবাসার শাস্তি অন্তর দহন,
ভালোবাসার নিদারুণ প্রাপ্তি, অনুশোচনা!
বন্ধত্বের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা!
বিপরীত অবয়বে বন্ধত্বের ছায়ায় থাকে মিলন বাসনা!
লেখক: সিঙ্গাপুর প্রবাসী