বিশ্বে ৯২ শতাংশ সাংবাদিক হত্যার বিচার হয় না

ঢাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০১৬, ২২:২৬ | প্রকাশিত : ১৭ নভেম্বর ২০১৬, ১৯:২২
ফাইল ছবি

গত ১০ বছরে দেশ-বিদেশে ৮২৭ জন সাংবাদিক খুন হয়েছেন। এর মধ্যে ২০১৪-১৫ সালে খুনের শিকার হয়েছেন ২১৩ জন। সবচেয়ে বেশি- ৭৮ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে আরব বিশ্বে।

বিশ্বব্যাপী সাংবাদিক হত্যার বেশির ভাগ ঘটনাতেই পার পেয়ে যায় খুনিরা। নিষ্পত্তি হয় না ৯২ ভাগ মামলার।

ইউনেসকোর ডিরেক্টর জেনারেলের ‘সেফটি অব জার্নালিস্টস অ্যান্ড দ্য ডেনজার অব ইমপিউনিটি’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে ।

তাতে বলা হয়, সংঘাতপূর্ণ এলাকাতেই সবচেয়ে বেশি সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়। আর বিশেষ করে বাংলাদেশে সাংবাদিক হত্যার বিচার না হওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ সাংবাদিকদের অনৈক্য ।

বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সেমিনারে ওই প্রতিবেদনের আংশিক তুলে ধরেন ইনডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের স্পেশাল অ্যাফেয়ার্স এডিটর জাহিদ হোসাইন ।

‘ইউনাইট অ্যাজেনিস্ট ইমপিউনিটি’ শীর্ষক আলোচনা সভাটি যৌথভাবে আয়োজন করে ইনস্টিটিউশন অব কমিউনিকেশন স্টাডিজ ও ইউনেসকো। এটি সঞ্চালনা করেন ইনডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের খালেদ মহিউদ্দিন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নারী সাংবাদিকদের ওপরও হামলা বাড়ছে নিয়মিতভাবে। ২০১৫ সালে নয়জন নারী সাংবাদিক হত্যার শিকার হন। গত দশকে প্রতি বছর গড়ে চারজন নারী সাংবাদিককে হত্যা করা হয়।

সাংবাদিক হত্যার তথ্য দিতে অধিকাংশ দেশের অসহযোগিতার চিত্রও তুলে ধরা হয় প্রতিবেদনে। ৮২৭টি সাংবাদিক হত্যার বিপরীতে মাত্র ৫৯টি দেশ ৪০২টি হত্যাকাণ্ডের মামলার বিষয়ে তথ্য দিয়েছে। এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ৬৩টি, তদন্ত চলছে ৩৩৯টি। আর ৪২৫টি মামলার বিষয়ে সদস্যদেশগুলো কোনো তথ্য দেয়নি। সব মিলিয়ে সাংবাদিক হত্যায় বিশ্বব্যাপী ৯২ ভাগ মামলার নিষ্পত্তি হয় না।

বাংলাদেশে ১৯৯২ সাল থেকে এখন পর‌্যন্ত খুন হওয়া ২০ সাংবাদিক পরিবারের বেশির ভাগই কোনো বিচার পাননি বলে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে সাংবাদিক হত্যার বিচার না হওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ সাংবাদিকদের অনৈক্য। নিজেদের ঐক্যবদ্ধ করতে না পারলে সাংবাদিক হত্যাকণ্ড চলতেই থাকবে, বিচারও হবে না। এ ছাড়া দেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে না ওঠা, অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার দুর্বোধ্যতা, যোগ্য লোকের অভাব, উদ্দেশ্যপ্রবণতা, বিচারকের সংকটও বিচার না হওয়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন বক্তারা।

এসব নিয়ে প্রতিবাদের বিষয়ে বক্তাদের মত, শুধু সংগঠন থেকে নয়, এসব কিছুর প্রতিবাদ পেশাগত জায়গা থেকেও একজন সাংবাদিক করতে পারেন। নিজেদের নৈতিকতা, সাহসিকতা দিয়ে ধারাবাহিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার মাধ্যমে এটি হতে পারে। শুধু নিজের নয়, পেশার সম্মানেই এটি করা উচিত বলে মনে করেন আলোচকরা।

আরেঅচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া, সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, শাবান মাহমুদ, নাসিমুন আরা মিমু প্রমুখ ।

(ঢাকাটাইমস/১৭নভেম্বর/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

গণমাধ্যম বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

গণমাধ্যম এর সর্বশেষ

আরআরএফের সভাপতি মিজান, সম্পাদক নিশাত ও দপ্তর সম্পাদক মেহেদী

সাংবাদিক নেতা রমিজ খানের ইন্তেকাল, বিএফইউজের শোক

ঈদের ছুটি না পাওয়া গণমাধ্যমকর্মীদের যথাযথ সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজের

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

নড়াইল জেলা সাংবাদিক ইউনিটি-ঢাকার নতুন কমিটি গঠন

সাংবাদিক মিনার মাহমুদের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

সাংবাদিক সাব্বিরের ওপর নৃশংস হামলায় ঢাকাস্থ গাজীপুর সাংবাদিক ফোরামের নিন্দা

বাংলানিউজকর্মী মিথুনের ক্যানসার চিকিৎসায় এগিয়ে এলো বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন

আজ ভোরের পাতা সম্পাদকের পিতার চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী

সাংবাদিক মোহসিন কবিরকে মারধরের ঘটনায় ডিআরইউর প্রতিবাদ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :