লিপু হত্যার তদন্তে ধীরগতি, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মোতালেব হোসেন লিপু হত্যার এক মাসেও হত্যার কারণ উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। তদন্তে ধীরগতির অভিযোগ তুলে এবং লিপু হত্যার বিচার দাবিতে আবারও বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিভাগের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এসে মানববন্ধনে মিলিত হয়। সেখানে শিক্ষার্থীরা লিপু হত্যার তদন্তে ধীরগতির অভিযোগ এনে দ্রুত তদন্ত শেষ করে বিচারের দাবি জানায়। এসময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে যোগ দেয়।
মানববন্ধনে লিপুর সহপাঠী রাশেদ রিন্টু বলেন, ‘পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের বারবার জানানো হয়েছে লিপুর রুমমেট গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। এমনকি তার দেয়া তথ্যে হত্যা রহস্য উদঘাটন সম্ভব বলেও জানানো হয়। কিন্তু এতদিন পরেও আমরা তদন্তে কোনো অগ্রগতি পেলাম না। সেই রুমমেটও এখন জামিনে আছে। বাধ্য হয়ে আমাদের আবারও রাস্তায় নামতে হচ্ছে।’
বক্তারা দ্রুত হত্যাকা-ের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিহার থানার ওসি (তদন্ত) অশোক চৌহান বলেন, ‘এখনও হত্যার কারণ উদঘাটন করা যায়নি। তবে লিপুর রুমমেট মনিরুলের দেয়া কিছু তথ্য যাচাই-বাছাই করে আবার তার রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার ১৫ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু রিমান্ড শুনানির আগে গত ৮ নভেম্বর জজ কোর্ট থেকে সে জামিন পায়।’
গত ২০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আব্দুল লতিফ হলের ড্রেন থেকে লিপুর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে লিপুকে হত্যা করা হয়েছিলো বলে পুলিশ ও ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের পক্ষ থেকে জানানো হয়। ওইদিন বিকেলে লিপুর চাচা মো. বশীর বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় লিপুর রুমমেট মনিরুলকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। পরে মনিরুলকে চারদিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ডে মনিরুলের দেওয়া তথ্যে হত্যার রহস্য উদঘাটন সম্ভব বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিলো। এ হত্যার বিচার দাবিতে গত এক মাস বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে।
(ঢাকাটাইমস/২০নভেম্বর/প্রতিনিধি/জেডএ)