ঢাবি ক্যাম্পাসে মূকাভিনয়ে মিনানমারে গণহত্যার প্রতিবাদ
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নির্বিচারে মুসলিম নিধনের ঘটনায় ফুসছে বিশ্ব। দেশে দেশে হচ্ছে প্রতিবাদ বিক্ষোভ। বাংলাদেশে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজনও প্রতিবাদমূখর হয়ে উঠেছেন। আজ রবিবার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নিধনের ঘটনায় ঢাবি ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও মূকাভিনয় প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকগণ অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় বক্তাগণ বলেন, পথিবী আজ একটা ভীতিকর জায়গায় গিয়ে ঠেকেছে। প্রাচ্য কি মধ্যপ্রাচ্য সর্বত্রই ভীতিকর পরিস্থিতি বিরাজমান। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা নিধনের সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ টেনে বক্তারা বলেন, রোহিঙ্গা জনগাষ্ঠীর ওপর যে জুলুম-নির্যাতন, নিপীড়ন ও হত্যাযজ্ঞ চলছে তা বিশ্ববিবেককে হতবাগ করে দিয়েছে।
সে দেশের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ, গুলিবর্ষণ ও এমনকি ধর্ষনের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।বেশ কিছু দিন ধরে তা গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচারিত হচ্ছে।
আজ রবিবার ঢাবির অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মাইম অ্যাকশনের উদ্যোগে ’স্টপ জেনোসাইড’ শীরোনামে মূকাভিনয় প্রদর্শনী ও মানববন্ধনের আয়াজন করা হয়। এই প্রদর্শনীটি দুটি গল্পের সমন্বয়ে তুলে ধরা হয়।
প্রথমটিতে বাংলাদেশে সম্প্রতি নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায় ও গাইবান্ধার সাঁওতাল পল্লীতে অগ্নিসংযোগসহ সহিংসতার চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়। আর দ্বিতীয়টিতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মুসলিম নিধনে সেদেশের সেনাবাহিনীর নৃশংসতা, মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে রোহিঙ্গাদের ঢল ও বিশ্বের মোড়লদের নীরবতার চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়।
মূকাভিনয় প্রদর্শনীর নির্দেশনায় ছিলেন মীর লোকমান। অন্যান্য চরিত্রে করে বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, এমরান হাসান, গাজী মেহদী, আল আমিন, মৌসুমী, সাইফুল্লাহ সাদক এবং মীর লোকমান।
প্রদর্শনী শেষে মানববন্ধনে অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকগণ। শিক্ষকদের মধ্যে ছিলেন বিশ্বধর্ম ও সংহতি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ফাদার তপন ডি রজারিও বক্তব্য রাখন। তিনি বলন, বিশ্বের সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ শান্তিতে থাকুক। তিনি এসময় মিয়ানমারে চলমান গণহত্যার তীব্র নিদা ও প্রতিবাদ জানান।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা ইউনিভার্সিটির মাইম অ্যাকশনের সভাপতি শাহরিয়ার শাওন, মাইম অ্যাকশেনের পরিচালক মীর লোকমান ও শিক্ষার্থী রায়হান রাহী।
(ঢাকাটাইমস/২০নভেম্বর/প্রতিনিধি/এআর/ঘ.)