আত্মহত্যা নয়, খুন হয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা: পরিবার

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০১৬, ১৫:৫৫ | প্রকাশিত : ২১ নভেম্বর ২০১৬, ১৩:৫৯

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর শরীরের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তার পরিবার। অনুসারী নেতাকর্মীদেরও সন্দেহ দিয়াজ খুন হয়েছে।

দিয়াজকে হত্যার প্রতিবাদ ও খুনিদের বিচারের দাবিতে নেতাকর্মীরা আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন এবং নগরীর প্রবর্তক মোড়ে সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

রবিবার রাত সোয়া দশটার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেইট এলাকায় ভাড়া বাসায় ফ্যানের সঙ্গে দঁড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় দিয়াজের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দলীয় কোন্দলের জের ধরে সম্প্রতি ওই বাসায় হামলা হওয়ায় দিয়াজ ছাড়া আর কেউ সেখানে থাকতেন না।

হাটহাজারী উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফসানা বিলকিস দিয়াজের শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকার কথা স্বীকার করলেও ময়নাতদন্তের আগে এসব চিহ্ন আঘাতের কি না এবং প্রকৃতপক্ষে দিয়াজ খুন হয়েছেন কি না এ ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, দিয়াজের গলার উভয় পাশে আঁচড়ের চিহ্ন আছে। বাম পাশে আঁচড়ের পরিমাণ বেশি। এছাড়া হাতের কব্জিতে ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়না তদন্তের পর ভিসেরা রিপোর্ট পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে দিয়াজ খুন হয়েছেন নাকি আত্মহত্যা করেছেন।

রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নং গেইট এলাকায় নিজ বাসার কক্ষে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক দিয়াজের ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়। লাশ উদ্ধারের সময় হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফসানা বিলকিস ও চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় দিয়াজের মা জোবায়দা আমিন চৌধুরী প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। যারা খুন করেছে তারা এর আগে আমার ঘরে হামলা করে, ভাঙচুর-লুটপাট করে। হাটহাজারী থানা তখন পুলিশ মামলা নেননি। তারা পরিকল্পিতভাবে আমার সন্তানকে মেরেছেন।

এদিকে চবি ছাত্রলীগের একাংশ দিয়াজ হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রবর্তক মোড় এলাকায় সকাল ছয়টা থেকে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এ সময় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। অবরোধ চলাকালে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে ছিল। পরে দিয়াজের পরিবারের অনুরোধ ও পুলিশের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

দিয়াজ হত্যার বিচার দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চলাচলকারী তিনটি শাটল ট্রেনও অবরোধ করে রেখেছে দিয়াজের অনুসারী বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে ফতেয়াবাদ স্টেশন ও ষোলশহর স্টেশনে ট্রেন অবরোধ করা হয়।

ষোলশহর স্টেশন মাস্টার আবুল কালাম বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকাটাইমসকে বলেন, শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী সকাল ৮টা ২০ মিনিটের শাটল ট্রেন ও ৯টার ডেমু ট্রেনটি ফতেয়াবাদ স্টেশনে ব্যারিকেড দিয়ে ট্রেন দুটি আটকে রেখেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ষোলশহর স্টেশনে ৯টা ৪৫ দিকে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেখানেও প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে তারা। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

দিয়াজের অনুসারী ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক আলী আহসান রবিন বলেন, দিয়াজ ভাইয়ের হত্যার বিচারের দাবিতে আমরা সর্বাত্মক অবরোধ ডেকেছি। দোষীদের গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত এ অবরোধ চালিয়ে যাবারও ঘোষণা দেন তিনি।

এদিকে ট্রেন চলাচল না করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস পরীক্ষা দিতে যাওয়া বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থী বিপাকে পড়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী বলেন, ট্রেন অবরোধের বিষয়টি জেনেছি। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/২১নভেম্বর/প্রতিনিধি/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :