ভাগ্যে মিলল না ঠাঁই স্বজনের মাঝে
ভাগ্য যে বড়ই নির্মম, এ জগতে হায়!
কার ভাগ্যে কী লেখা আছে
আল্লাহ্ ছাড়া, বোঝা বড় দায়-
এ জগতে হায়!
জীবনের জন্য কর্ম, কর্মের জন্য জীবন নয়
এ সত্য উপলব্ধি কয়জনেরই বা হয়-
এ জগৎ সংসারে হায়!
জীবন, যৌবন, কর্ম দিলাম যাদের তরে
তারাই করিলো মোর পর, জগৎ সংসারে।
কর্মের শেষে যখন গেলাম অবসরে-
তখন, মোর নাহি কেউ চায়,
জগৎ সংসারে।
মোর কর্ম ও সুখের সময় তারিফ করতো যারা
অবসরে তাদের কাছেই আমি আজ বিষফোঁড়া।
এ বয়সেও আমি, একলা বসে আপন মনে-
ভাবছি সবার তরে,
সবাই তখন ভাবছে নিজের তরে।
স্বজন মোর ছিল যারা, এ জগৎ সংসারে
নেই তো আজ কেউ, পর করেছে মোরে।
বললে কথা বলে ওরা, আমরা তো আর-
তোমার নই,
মনের ব্যথা মনে রেখেই, করি প্রার্থনা
আল্লাহ্ তুমি মোর করিও না-
ওদের মত ঘৃণা।
ব্যথিত মনে সন্তানদের দ্বারে-
করি মোর আবদার,
তোমরাই তো মোর জীবনের কর্ণধার।
থাকবো আমি একটু সুখে, তোমাদের মাঝে-
দু’বেলা শুকনা রুটি আর উচ্ছিষ্ঠ ভাতে!
এর চেয়ে বেশি কিছু আর-
চাইবো না, তোমাদের কাছে,
জীবন প্রদীপ যতদিন আছে।
ভাগ্যের লেখা নির্মম হলেও সত্য-
যায় না বলা অন্যের কাছে,
অশ্রু ঝড়া চোখে, ব্যথিত মনে বলি-
বৃথা গেল মোর সারা জীবনের শ্রম
ভাগ্যে মিলল না ঠাঁই স্বজনের মাঝে-
অবশেষে মোর আশ্রয় হলো-
একমাত্র বৃদ্ধাশ্রম।