‘সাকার স্ত্রী-ছেলেকে কেন সাজা দেয়া হবে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০১৬, ২২:৪৭ | প্রকাশিত : ২২ নভেম্বর ২০১৬, ১৬:৩০

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর মামলার রায় ফাঁসের মামলায় তার স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রায় ফাঁসের মামলায় তাদের খালাসের রায় বাতিল করে কেন সুবিধাজনক সাজা দেয়া হবে না, এ মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শহীদুল ইসলাম খান।

শহীদুল ইসলাম খান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ফারহাত কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের খালাসের রায় বাতিল করে কেন সুবিধাজনক সাজা দেয়া হবে না এই মর্মে রুল জারি করেছেন।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম শামসুল আলম রায় ফাঁস মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ফারহাত কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে খালাস দেয়া হয়। তবে এ মামলায় অন্যতম আসামি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী ব্যারিস্টার এ কে এম ফখরুল ইসলামকে আদালত ১০ বছর কারাদণ্ড ও দশ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হলে তাকে আরও ছয় মাস কারাদণ্ড দেন আদালত।

এছাড়া আদালত মামলার অন্য আসামি সাকা চৌধুরীর ম্যানেজার মাহবুবুল আহসান, ব্যারিস্টার ফখরুলের সহকারী মেহেদি হাসান এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী নয়ন আলী ও ফারুক হোসেনকে সাত বছর কারাদণ্ড দেন।

পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হলে তাদেরকে আরও একমাস কারাদণ্ড দেন।

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর বিএনপি নেতা সাকা চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

তবে রায়ের আগেই সালাউদ্দিনের স্ত্রী, পরিবারের সদস্য ও আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। তারা রায়ের খসড়া কপি সংবাদকর্মীদের দেখান। পরদিন ২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এ কে এম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। ওই বছরের ৪ অক্টোবর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ফজলুর রহমান বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় আরেকটি মামলা করেন।

এরপর ২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট ডিবির পরিদর্শক মো. শাহজাহান ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

(ঢাকাটাইমস/২২নভেম্বর/এমএবি/জেবি/এআর/)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন তিন বিচারপতি

আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন তিন বিচারপতি

কক্সবাজারে কতজন রোহিঙ্গা ভোটার, তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

সাউথ এশিয়ান ল' ইয়ার্স ফোরাম ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল চ্যাপ্টারের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন

আদেশ প্রতিপালন না হওয়ায় চট্টগ্রামের ডিসি এসপিসহ চার জনকে হাইকোর্টে তলব

১১ মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি ২৯ জুলাই

২৮ দিন পর খুলল সুপ্রিম কোর্ট

ব্যবসায়ী নাসিরের মামলা: পরীমনিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

বোট ক্লাব কাণ্ড: পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন

সেই রাতে ৮৭ হাজার টাকার মদ খেয়েছিলেন পরীমনি, পার্সেল না দেওয়ায় তাণ্ডব

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :