৭ খুন: আসামিদের আইনজীবীর যুক্তিতর্ক শেষ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২২ নভেম্বর ২০১৬, ১৯:৪৭

নারায়ণগঞ্জে ৭ খুনের দুটি মামলায় র‌্যাবের সাবেক কর্মকর্তা মেজর আরিফ হোসেনসহ দুই আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক সম্পন্ন হয়েছে। এই নিয়ে ৭ খুনের মামলায় ১৭ আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক সম্পন্ন হলো।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে যুক্তিতর্ক চলে। আদালত দুই আসামির যুক্তিতর্ক শেষে আগামী ২৭ নভেম্বর পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন। প্রথমে ল্যান্স কর্পোরাল রুহুল আমিন সামসুল হক তরফদার ও র‌্যাবের সাবেক কর্মকর্তা মেজর আরিফ হোসেনের আইনজীবী এডভোকেট এম এর রশিদ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন আদালত।

আদালত মেজর আরিফ হোসেনের আইনজীবীর যুক্তিতর্ক অসমাপ্ত রেখে পরবর্তী তারিখ ২৭ নভেম্বর ঠিক করেন। এর আগে সোমবার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাদের যুক্তিতর্ক শেষে আসামিদের রঁশিতে ঝুঁলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে ১৫ আসামির আইনজীবীও তাঁদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।

এর আগে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন, র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ২৩ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোডের ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাসহ ৭ জনের লাশ অপহরণের তিন দিন পর উদ্ধার করা হয়।

ওই ঘটনায় প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও তার ৪ সহযোগী হত্যার ঘটনায় তাঁর স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে একটি এবং সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়ির চালক ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় তার জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে আরও একটি অর্থাৎ ঐ খুনের ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় মোট দুটি মামলা হয়।

দীর্ঘ প্রায় এক বছর তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী সংস্থা নূর হোসেন, র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। তবে একটি মামলার বাদী সেলিনা ইসলাম বিউটি তার দায়েরকৃত মামলায় এজাহারভুক্ত ৫ আসামিকে বাদ দেয়ায় এবং প্রধান আসামি নূর হোসেনের জবানবন্দী ছাড়া অভিযোগপত্র দেয়ায় তা প্রত্যাখ্যাণ করে না রাজি পিটিশন দাখিল করলে প্রথমে বিচারিক হাকিম আদালত ও পরে জেলা ও দায়রা জজ আদালত তা খারিজ করে দেন।

পরে সেলিনা ইসলাম বিউটি অধিকতর তদন্ত চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে আদেশে বলেন, পুলিশ চাইলে মামলাটি অধিকতর তদন্ত করতে পারে। তবে মামলাটিতে হত্যার ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনার ধারা যুক্ত করে বিচার করার জন্য জেলা ও দায়রা জজকে নির্দেশ দেন।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি ৭ খুনের দুটি মামলায় নূর হোসেন ও র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ২৩ আসামির উপস্থিতিতে আদালত অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্য গ্রহণের দিন নির্ধারণ করেন। তবে র‌্যাবের ৮ সদস্যসহ পলাতক ১২ আসামির অনুপস্থিতিতেই বিচার কার্য শুরু হয়। পলাতক ১২ আসামির পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষের খরচে ৫ আইনজীবীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

এর আগে গত বছরের ৮ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নূর হোসেন ও র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ওই মামলায় নূর হোসেন ও র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ মোট ২৩ জন বর্তমানে কারাগারে আটক রয়েছে। দুটি মামলাতেই অভিন্ন সাক্ষী হলো ১২৭জন করে। এখন পর্যন্ত সাত খুনের দুটি মামলায় অভিন্ন ১২৭ সাক্ষীর মধ্যে ১০৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ১০৮ নম্বর সাক্ষী হিসেবে তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ মন্ডল সাক্ষ্য প্রদান করছেন। (ঢাকাটাইমস/২২নভেম্বর/প্রতিনিধি/ এআর/ ঘ.)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

ব্যবসায়ী নাসিরের মামলা: পরীমনিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

বোট ক্লাব কাণ্ড: পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন

সেই রাতে ৮৭ হাজার টাকার মদ খেয়েছিলেন পরীমনি, পার্সেল না দেওয়ায় তাণ্ডব

বোট ক্লাব কাণ্ড: প্রতিবেদন দিল পিবিআই, ব্যবসায়ী নাসিরের মামলায় ফেঁসে যাচ্ছেন পরীমনি?

ড. ইউনূসকে স্থায়ী জামিন দেননি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল

সদরঘাটে লঞ্চ দুর্ঘটনা: আসামিদের তিনদিনের রিমান্ড

অরিত্রীর আত্মহত্যা: চতুর্থ বারের মতো পেছাল রায় ঘোষণার দিন, কী কারণ?

অরিত্রীর আত্মহত্যা: ভিকারুননিসার ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলার রায় আজ

বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বিকে হলের সিট ফেরত দেওয়ার নির্দেশ

আত্মসমর্পণের পর ট্রান্সকমের ৩ কর্মকর্তার জামিন

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :