‘১০ মাসে চার হাজার নারী নির্যাতন’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০১৬, ১৫:৩৪ | প্রকাশিত : ২৩ নভেম্বর ২০১৬, ১৫:২২

চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে চার হাজারের বেশি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছে মহিলা পরিষদ। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে সংস্থাটি। আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইডের পরিচালক মাকসুদা আক্তার লাইলী। মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম, সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, যুগ্ম সম্পাদক শিমা মুসলেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

লাইলী বলেন, গত ১০ মাসে ১৪টি পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে তারা এই পরিসংখ্যান পেয়েছেন। এতে দেখা যায়, এই সময়ের মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৮৭৫ জন। এর মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৩৪ জন। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৩১ জনকে, ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ১৪০ জনকে। উত্ত্যক্ত ও যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ৩৩১ জন। এর মধ্যে উত্ত্যক্ত করা হয়েছে ২৪০ জনকে। উত্ত্যক্তের কারণে আত্মহত্যা করেছেন আটজন, প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় নির্যাতন করা হয়েছে ১২ জনকে এবং যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৭১ জন নারী।

সংবাদ সম্মেলনে নারী নির্যাতন বন্ধে কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। বলা হয়, নারী আন্দোলন মনে করে এই অবস্থা চলতে পারে না। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র ঐক্যবদ্ধভাবে নারী ও কন্যার স্বাভাবিক বিকাশ, নারীর স্বাধীন চলাচল, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ নারী ও কন্যার প্রতি নির্যাতন প্রতিরোধ ও নির্মূলে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। নারী-পুরুষ সম্মিলিতভাবে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। নারী ও কন্যার প্রতি বিরাজমান পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে। বৈষম্যমূলক নীতিমালা ও আইন বাতিল করে সব নাগরিকের জনজীবন ও পারিবারিক জীবনে সম-অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সবার নিজ নিজ অবস্থান থেকে নারী ও কন্যার প্রতি সব ধরনের নির্যাতন প্রতিরোধে উদ্যোগ নিতে হবে। ১৮ বছরের আগে বিয়ে নয়—এ বিষয়ে সরকারকে ব্যাপক প্রচার চালাতে হবে।

লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, আমাদের নারীদের মধ্যে জেগে উঠে পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবের কারণে নিজ ঘরেই নারীদের দ্বারা নারীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। আমাদের দেশে সহিসংতার মাত্রা ও রূপ ভয়াবহভাবে বাড়ছে। এই ধরনের নির্যাতনগুলো ভয়াবহ মাত্রায় বেড়ে যাওয়ার আরেকটি কারণ হলো অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসন যথাযথ ভূমিকা পালন করে না।

নারী ও কন্যা শিশুর প্রতি সবধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে পরিবার থেকে শুরু করে সমাজ ও রাষ্ট্রের সবার ভূমিকা তথা বিবেক জাগ্রত করার আহ্বান জানানো হয়। আর এক্ষেত্রে গণমাধ্যম এবং নারী আন্দোলন পারস্পরিক সম্পূরক শক্তি হিসেবে কাজ করলে সমাজে নারীর প্রতি সহিংসতা অনেকটাই কমে যাবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন নারী নেত্রীরা।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি আয়শা খানম, সহ-সভাপতি নাহার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাখী দাশ পুরকায়স্থ এবং সীমা মোসলেম, সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদা রেহানা বেগম, সংগঠন সম্পাদক উম্মে সালমা বেগম, লিগ্যাল এইড সম্পাদক সাহানা কবির, প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও পাঠাগার সম্পাদক রিনা আহমদ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি মাহাতাবুন্নেসা, সাধারণ সম্পাদক রেহানা ইউনুস, আন্দোলন সম্পাদক লায়লা খালেদা, লিগ্যাল এইড সম্পাদক শামীমা আফরোজ আইরিন, সংগঠনের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট রামলাল রাহা এবং অ্যাডভোকেট দীপ্তি রানী সিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/এসআর/এমএইচ/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজধানী এর সর্বশেষ

ছুটির দিনে রাজধানীর বিপণি কেন্দ্রগুলোতে উপচেপড়া ভিড়

বিজিবিতে আযান ও ক্বেরাত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ

পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের বিচার

এক হাতে ইফতারের পানির বোতল, আরেক হাতে যান চলাচলের ইশারা ডিসির

এলিফ্যান্ট রোডে বাসা থেকে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ঢাকাস্থ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা কল্যাণ সমিতির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

অসুস্থতার যন্ত্রণা সইতে না পেরে ছুরিকাঘাতে রিকশাচালকের আত্মহত্যা

রাজধানীর ধোলাইপাড়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রীর ‘আত্মহত্যা’

বুধবার থেকে এক ঘণ্টা বাড়ছে মেট্রোরেল চলাচলের সময়

ঈদকে সামনে রেখে ডিবি-সাংবাদিক পরিচয়ে অপহরণের ফাঁদ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :