ফরিদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচন

চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন চান আ.লীগের ১৪ নেতা

মফিজুর রহমান শিপন,ফরিদপুর
 | প্রকাশিত : ২৪ নভেম্বর ২০১৬, ১০:০৬

দেশের ৬১টি জেলা পরিষদের সাথে ফরিদপুর জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২৮ ডিসেম্বর। এ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৪ জন নেতা দলের সভানেত্রীর কাছে আবেদন করেছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

দলের মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে অধিকাংশ নেতাই আশাবাদী। সকলেই বলেছেন, নেত্রী যাকে মনোনয়ন দেবেন- তার হয়েই কাজ করবেন সবাই।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারমান পদে দলীয় মনোনয়ন পেতে যেসব নেতা আবেদন করেছেন, তারা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন, সাবেক কমিটির সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সামসুল আলম ভোলা, সাবেক আরেক সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন মৃধা, ফরিদপুর জেলা মহিলালীগের সদস্য সচিব আইভি মাসুদ, নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আয়মন আকবর চৌধুরী বাবলু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিপুল ঘোষ, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি কবিরুল আলম মাও, ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী হেদায়েতউল্লাহ সাকলাইন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাক শেখ সাইফুল হায়াত সেলিম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জিয়াউল হাসান মিঠু ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক সত্যজিত মুখার্জি, কে এম কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক শওকত আলী শাহ আলম, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ভাঙ্গা পৌরসভার কাপুরিয়া সদরদী এম হক বাবু।

এই সব প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন জেলা পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, আমার মতো অনেকেই দলীয় মনোনয়ন পেতে সভানেত্রীর কাছে আবেদন করেছেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের অনেকেই মনোনয়ন পাওয়ার মতো যোগ্য। তবে নেত্রী যাকে মনোনীত করবেন, আমরা তার পক্ষেই কাজ করব।

অন্যদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. সুবল চন্দ্র সাহা বলেন, একাধিক নেতা মনোনয়ন চাইতে পারেন। তার মানে এই নয়, যে মনোনয়ন না পেলে গ্রুপিংয়ে জড়িয়ে পড়বেন।

তিনি বলেন, সকল আবেদনকারী স্ব-স্ব জায়গা থেকে যোগ্য। এখন সভানেত্রী কাকে দেন- সেইটাই দেখার বিষয়।

তিনি বলেন, বয়সের ভারে আমি অনেকটা ক্লান্ত, তারপরও দেখা যাক কি হয়।

এই নির্বাচনে একমাত্র নারী প্রার্থী জেলা মহিলালীগের সদস্য সচিব আইভি মাসুদ জানান, আমি দীর্ঘদিন দলের জন্য শ্রম দিয়ে আসছি। আমি দলীয় সমর্থন পাওয়ার প্রত্যাশা করতেই পারি। সভানেত্রী নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী, সে ক্ষেত্রে ভাল কিছু হতেও পারে। তবে নেত্রী যাকে মনোনীত করবেন, তাকেই জয়ী করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাব।

ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাকলাইন কাজী বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে অংশ নিয়ে তার মনোনয়ন লাভের জন্য দোয়া কামনা করেছেন।

আওয়ামী লীগের সাবেক জেলার সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নেতা বিপুল ঘোষ বলেন, নেত্রী যাকে ভাল মনে করবেন- উনি তাকেই মনোনয়ন দেবেন। আমাকে দিলে ভাল, না দিলে যাকে দেবেন তার পক্ষে কাজ করব।

তিনি বলেন, আমি বর্তমান সরকারের আমলে কোন মূলায়ন পাইনি।

জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি শামসুল হক বলেন, দলের জন্য নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সততা ও যোগ্যতার বিচারে আমি মনে করি, আমি দলীয় মনোনয়ন পাব।

জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি লোকমান হোসেন মৃধা বলেন, আমি চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। ২০০৯ সাল থেকে আমি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। ১৯৬২ সালে ছাত্র আন্দোলন থেকে আমার রাজনীতিতে হাতেখঁড়ি। রাজনীতির পাশাপাশি শিক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছি। আমি মনোনয়ন পাব বলে বিশ্বাস।

জেলা কৃষকলীগের সভাপতি কবিরুল আলম মাও বলেন, রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধ, ছাত্র আন্দোলন বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদ, পাকিস্তান আমলে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ করাসহ যদি বিষয়গুলো মূল্যায়ন করা হয়- তাহলে আমি মনোনয়ন পাব। আমি আদর্শের জন্য রাজনীতি করি। আমি দুর্নীতি করিনি। কোন সুযোগ-সুবিধা নেইনি।

ফরিদপুর জেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী জায়নুল আবেদিন এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না।

(ঢাকাটাইমস/২৪ নভেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :