ঋণ জালিয়াতি: সাংসদ শওকতের জামিন বাতিলে রুল
বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির মামলায় নীলফামারী-৪ আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শওকত চৌধুরীর জামিন কেন বাতিল করা হবে না এ মর্মে রুল জারি করেছেন আদালত। আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া আগামী ৭ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
মামলার অপর দুই আসামি কমার্স ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম আসাদুজ্জামান ও ব্যাংকের বংশাল শাখা ব্যবস্থাপক হাবিবুল গনির জামিন আবেদনের শুনানি শেষে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন।
চলতি বছরের ১০ মে ১২০ কোটি টাকার বেশি আত্মসাতের অভিযোগ এনে সাংসদ শওকতসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, যমুনা অ্যাগ্রো কেমিক্যাল কোম্পানি ও যমুনা অ্যাগ্রো কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড নামের দুটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ব্যাংকটির বংশাল শাখা থেকে ৯৩ কোটি কোটি ৩৬ লাখ ২০ হাজার ২৩১ টাকা আত্মসাৎ করে। পরে সুদআসলে তার পরিমাণ দাঁড়ায় ১২০ কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার ৯৯০ টাকা। প্রতিষ্ঠান দুটির মালিক শওকত চৌধুরী। ব্যাংক থেকে জালিয়াতির জন্য প্রতিষ্ঠান দুটি বিভিন্ন ধরনের কৌশল নেয়। ভুয়া মেয়াদি আমানত (এফডিআর) দেখিয়ে তার বিপরীতে ঋণ নেওয়া, বিটিআরসির একটি হিসাবকে জাল কাগজপত্র তৈরির মাধ্যমে নিজেদের দেখিয়ে ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলনসহ নানা প্রক্রিয়ায় ওই অর্থ আত্মসাৎ করা হয়।
শওকত চৌধুরী ছাড়াও মামলার আসামি ব্যাংকটির আট কর্মকর্তা হলেন- বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ব্যবস্থাপনা পরিচালকের চলতি দায়িত্বে ছিলেন) মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শফিকুল ইসলাম,সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট পানু রঞ্জন দাস, সাবেক ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ইফতেখার হোসেন, বংশাল শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মো. হাবিবুল গনি, বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার কর্মকর্তা শিরিন নিজামী, সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার দেবাশীষ কুমার ও এক্সিকিউটিভ অফিসার আসজাদুর রহমান।
(ঢাকাটাইমস/২৪নভেম্বর/এমএবি/এমআর)