দেশে ক্যানসার রোগীর সংখ্যা ১২ লাখ

দেশে ক্যানসার রোগীর সংখ্যা ১২ লাখ। প্রতি বছর আক্রান্ত হচ্ছে আরও প্রায় দুই লাখ। ঘাতক এই রোগে মারা যাচ্ছে দেড় লাখ মানুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই তথ্যই বলে দিচ্ছে কতটা ভয়াবহ হয়ে উঠছে ক্যানসারের প্রকোপ। ফলে হাজার হাজার রোগী চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশে যাচ্ছেন। এতে হাজার কোটি টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে। অথচ দেশেই ক্যানসার রোগীদের সমন্বিত চিকিৎসা দেয়া সম্ভব। দরকার শুধু চিকিৎসকদের আন্তরিকতা আর সমন্বিত উদ্যোগের।

রবিবার ধানমন্ডির জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে 'জেবিএফএইচ ব্রেস্ট এন্ড স্টমাক ক্যান্সার কেয়ার সেন্টার' চালু উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। হাসপাতালের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সরদার এ নাঈমের সভাপতিত্বে এই সেন্টারটির উদ্বোধন করেন প্রখ্যাত ক্যানসার বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. এএমএম শরিফুল আলম। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রফেসর ডা. আনিসুর রহমান, প্রফেসর ডা. মো. মিজানুর রহমান, হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রফেসর ডা. জোনাইদ শফিক, সিইও ডা. আরএম সামিউল হাসান সহ ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালের কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশের সেরা চিকিৎসকবৃন্দ ও সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতির সমন্বয়ে অত্যাধুনিক এই ক্যানসার কেয়ার সেন্টারটি স্থাপন করা হয়েছে। ব্রেস্ট ও পাকিস্থলির ক্যানসার চিকিৎসায় চালু হয়েছে কেমোথেরাপি ইউনিট। অপেক্ষাকৃত সুলভ মূল্যে রোগীরা এখানে পাবেন রেডিও থেরাপি, কেমো থেরাপিসহ সুনির্দিষ্ট অন্যান্য পরীক্ষা নিরীক্ষা ও সার্জারির সুযোগ।

অধ্যাপক সরদার এ নাঈম বলেন, ক্যানসার রোগীরা যতদিন বেঁচে থাকেন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বাঁচেন। দেশের চিকিৎসকরা এক্ষেত্রে সামান্য আন্তরিক হলে রোগীদের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হতো না। আমরা ক্যানসার রোগীদের জন্য আস্থার একটি জায়গা তৈরি করার চেষ্টা করছি।

প্রফেসর ডা. এএমএম শরিফুল আলম বলেন, 'দূরারোগ্য ক্যানসার চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদ ও ব্যয়বহুল। তবে সার্বিক পরিচর্যা ও উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগ থেকে মুক্তি লাভের অপর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বিশ্বজুড়ে। আগে থেকে রোগ নির্নয় এবং প্রতিরোধ করলে অনেকাংশেই এর ঝুঁকি কমানো যায়।'

হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রফেসর ডা. জোনাইদ শফিক বলেন, 'জেবিএফএইচ ক্যানসার সেন্টারটি শুরুতেই রোগ নির্ণয় এবং প্রতিরোধের জন্য রোগীদের সার্বক্ষণিক সেবা দেবে।'

(ঢাকাটাইমস/২৭নভেম্বর/জেবি)