সিএমএইচে আরও ২ রোগীর দেহে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পর এবার ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) বোনম্যারো ট্রান্স প্লান্ট (অস্থিমজ্জা) প্রতিস্থাপনের কাজ সম্পন্ন হলো।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের এই যুগান্তকারী সংযোজন ব্লাড ক্যান্সারসহ অনেক জটিল রক্তরোগের সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব। সিএমএইচে এই অস্ত্রোপচারের ফলে প্রতি বছর বাংলাদেশ হতে বিপুল সংখ্যক রোগীর বিদেশ যাত্রা ঠেকাবে।
সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোরের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম আবু ইউসুফ, কর্নেল হক মাহফুজ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মোসলেহ উদ্দিন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মোস্তাফিল করিমসহ ঢাকা সিএমএইচের রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ পর্ষদের তত্ত্বাবধানে ঢাকা সিএমএইচ এ অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।
জানা যায়, আধুনিক ও ব্যয়বহুল এই চিকিৎসা সুবিধা ভারতের টাটা মেডিকেল সেন্টার, কলকাতার সাথে সমন্বয়পূর্বক সম্পন্ন করা হয়েছে।
গত চলতি বছরের ২৫ ও ২৬ নভেম্বর ঢাকার বিএমটি সেন্টারে দুই জন রোগীর অটোলোগাস বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন করা হয়েছে।
এছাড়া গত ২৬ ও ২৭ নভেম্বর দুই জন বাংলাদেশী সামরিক কর্মকর্তার বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন সম্পন্ন করা হযেছে।
অদূর ভবিষ্যতে দেশের সকল নাগরিকগণ সিএমএইচে এই সেন্টারে আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা সুবিধা পাবেন।
ভারতের টাটা মেডিকেল সেন্টার, কলকাতার বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন টিমের অন্যান্য সদস্যের মধ্যে ডা. সৌরভ জয়ন্ত ভাবে-সিনিয়র কনসালটেন্ট, মিতা রায় চৌধুরী-হেড সিস্টার বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন, বিপ্লব কুন্ডু- ল্যাবরেটরি টেকনোলজিষ্ট এবং কৃষ্ণা সামান্থা- হাউজ কিপিং হেড সিএমএইচ বিএমটি সেন্টারে অপারেশন্স কার্যক্রমে অংশ নেন। এ দলের সদস্যরা চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর ঢাকায় আসেন এবং আজ ২৮ নভেম্বর দেশে ফিরে যাবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।ঢাকাটাইমস/ ২৮ নভেম্বর/এএ/এআর/ঘ.)