নিয়ন্ত্রণ আসছে চিকিৎসকের পরামর্শ ফি-তে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০১৬, ২২:৫৫ | প্রকাশিত : ২৯ নভেম্বর ২০১৬, ২২:৩৩

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসাসেবা ও চিকিৎসকদের পরামর্শ ফি নিয়ন্ত্রণের আইন আসছে। সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিদের বেসরকারি হাসপাতালে সেবা দেয়ার ক্ষেত্রেও থাকছে বিধিনিষেধ। এ ছাড়া স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তির ক্ষতি, বিনষ্ট, ধ্বংসসাধনের বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান থাকছে আইনে।

খুব শিগগির এ-সংক্রান্ত বেসরকারি চিকিৎসাসেবা আইন মন্ত্রিসভায় তোলা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেছেন, এ আইন চূড়ান্ত হলে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা এবং চিকিৎসকদের স্বার্থ দুই-ই সংরক্ষিত হবে।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী্ বলেন, বেসরকারি চিকিৎসাসেবা আইনটি অনুমোদনের জন্য খুব শিগগির মন্ত্রিসভার বৈঠকে তোলা হবে। পরে এটি আইনে পরিণত হওয়ার জন্য যাবে জাতীয় সংসদে।

সংবাদ ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিএসএমএমইউর ভিসি, বিএমএর সভাপতি ও মহাসচিব উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, আইনে সাধারণ মানুষের সহজ সেবাপ্রাপ্তির বিষয়গুলো গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আর বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরীক্ষা-নিরীক্ষার লাগামহীন ফি নিয়ন্ত্রণে আনা হচ্ছে। এ আইনে চিকিৎসকদের ইচ্ছামতো পরামর্শ ফি (ভিজিট) আদায়ের লাগাম টেনে ধরা হচ্ছে।

সূত্রমতে, চিকিৎসাসেবা আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে জনসাধারণের নিরাপদ ও মানসম্মত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকরণ, স্বাস্থ্যসেবা দানকারী (চিকিৎসক, নার্স, চিকিৎসা সহায়তাকারী, মিডওয়াইফ) এবং গ্রহীতার (রোগী) সুরক্ষা প্রদানসহ স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলোর যথাযথ পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে যুগোপযোগী আইন দরকার এবং সরকার সময়ে সময়ে প্রজ্ঞাপন দিয়ে বেসরকারি সেবা প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসকের ফি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফি নির্ধারণ করবে। এসব ফির তালিকা দৃশ্যমান স্থানে টানাতে হবে। চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত চেম্বার হবে দুই কক্ষের। একটিতে রোগী দেখা এবং অন্যটিতে বসা।

সূত্র আরও জানায়, অনুমোদন ছাড়া বেসরকারি চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করলে ন্যূনতম ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা দুই বছর কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান থাকছে খসড়া এ আইনে। আর স্বাস্থ্যসেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানের কোনো সম্পত্তির ক্ষতি, বিনষ্ট, ধ্বংস বা নিজ দখলে নিলে সংশ্লিষ্ট অপরাধী তিন বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা অর্থ বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সময় বেসরকারি হাসপাতালে সেবা দিলে ওই সেবাদানকারীর শাস্তি এক লাখ টাকা জরিমানা অথবা ছয় মাসের কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং আদালত উপযুক্ত মনে করলে বেসরকারি চিকিৎসাসেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানের সম্পূর্ণ বা আংশিক অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারবে। কোনো চিকিৎসক অতিরিক্ত ফি আদায় করলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং পেশাগত নৈতিকতা লঙ্ঘন করলে অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় নিবন্ধন সাময়িক অথবা স্থায়ীভাবে বাতিল হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৯নভেম্বর/এমএম/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

স্বাস্থ্য এর সর্বশেষ

ঔষধি গাছ থেকে তিন শতাধিক ওষুধ তৈরি হচ্ছে ইরানে

কণ্ঠের সব চিকিৎসা দেশেই রয়েছে, বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নেই: বিএসএমএমইউ উপাচার্য 

এপ্রিল থেকেই ইনফ্লুয়েঞ্জা মৌসুম শুরু, মার্চের মধ্যে টিকা নেওয়ার সুপারিশ গবেষকদের

স্বাস্থ্য খাতে নতুন অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ভাতা বাড়লো ইন্টার্ন চিকিৎসকদের

বিএসএমএমইউ বহির্বিভাগ ৪ দিন বন্ধ, খোলা থাকবে ইনডোর ও জরুরি বিভাগ

তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজ করতে বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বিএসএমএমইউতে বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট মানের চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে: ভিসি দীন মোহাম্মদ

ঈদের ছুটিতে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে যেসব নির্দেশনা মানতে হবে হাসপাতালগুলোকে

কেন বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিল অ্যানেসথেসিয়ার পুরনো ওষুধ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :