অনুষ্ঠান সমাপ্ত ঘোষণার পর প্রতিমন্ত্রী হাজির

প্রকাশ | ০২ ডিসেম্বর ২০১৬, ০১:১৭

মঞ্জুর রহমান, মানিকগঞ্জ থেকে

মানিকগঞ্জে লার্নিং এন্ড আনিং মেলার পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর হঠাৎ উপস্থিত হন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। পরে প্রতিমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে বরণ করে অনুষ্ঠানের দ্রুত সমাপ্ত ঘোষণা করে আয়োজক কমিটি। এ সময় মঞ্চের সামনের প্রায় চেয়ারগুলো খালি পড়ে ছিল।

বৃহস্পতিবার বিকালে মানিকগঞ্জে লার্নিং এন্ড আনিং মেলার পুরস্কার বিতরণ  ও সমাপনী অনুষ্ঠান ছিল। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের। কিন্তু প্রতিমন্ত্রীর অন্যত্র সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকায় মানিকগঞ্জের নির্ধারিত অনুষ্ঠানটি তিনি বাতিল করেন। এই খবরটি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মোবাইল ফোনে জানিয়ে দেওয়া হয়। পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলার পুরস্কার বিতরণ শেষ করে সন্ধ্যার আগেই অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। এর কিছু সময় পরেই অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হন পলক। এরপর জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক  আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।

এসময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য বলেন, আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশে যত উন্নয়ন সবকিছুই একটা কারণে হচ্ছে। এ দেশের মানুষ শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল। এদেশের   কোটি কোটি তরুণ ও তরুণীদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশকে একটি আধুনিক নিরাপদ দেশ হিসেবে বিশ্বের কাছে পরিচিতি করে দেয়ার জন্য, শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রেখে তার পাশে থাকবেন, নৌকা মার্কার পক্ষে থাকবেন এবং নৌকা মার্কার পক্ষে থেকে এই দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য শেখ হাসিনাকে সমর্থন জানিয়ে যাবেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পলক বলেন, যত দ্রুত সম্ভব মানিকগঞ্জে ফাইবার অফটিক্যাল ক্যাবল (দ্রুত গতির ইন্টারনেট) চালু করা হবে।

এই অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক রাশিদা ফেরদৌস। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয়, পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহিউদ্দীন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেলসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
এরপর প্রতিমন্ত্রী অনুষ্ঠান শেষ করে উপস্থিত জেলা প্রশাসন ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাওয়ার পথে সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ মাঠে গিয়ে উপস্থিত তরুণদের সঙ্গে আইটিসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন। এ সময় প্রতিমন্ত্রীকে বহনকরা গাড়িটি দূরে ছিল। এসময় মাঠের মধ্যে অপরিচিত যুবকদের কাছ থেকে তাদের মোটরসাইকেল নিয়ে কিছুক্ষণ তা চালিয়ে সময় কাটান।

(ঢাকাটাইমস/২ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/জেডএ)