চাঁদপুরে পৌনে দুই লাখ প্রাথমিক শিক্ষার্থী উপবৃত্তির বাইরে
চাঁদপুরে ২০১৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় পৌনে দুই লাখ উপবৃত্তির আওতায় আসেনি। সরকারের গণশিক্ষা ও প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের ঘোষণা মতে, ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্র্র্র্ষের অক্টোবর মাস থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া রোধ ও শতভাগ ভর্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভর্তি হওয়া শতভাগ শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পাওয়ার কথা। এর আগে তিনটি শর্তে প্রতি শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া ৪০ ভাগ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেয়ার রেওয়াজ দেশব্যাপী চালু হয়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের মনিটরিং বোর্ডে উল্লেখিত তথ্যমতে, চাঁদপুর জেলার আট উপজেলার ১ হাজার ১১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০১৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা তিনি লাখ ৩৩ হাজার ১৮। এর মধ্যে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮৬৯ জন উপবৃত্তির আওতায় এসেছে। বাকি ১ লাখ ৬৭ হাজার ১৪৯ জন শিক্ষার্থী উপবৃত্তির বাইরে রয়েছে।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, শর্ত পূরণ না হওয়ার কারণে ওই বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী উপবৃত্তির আওতার বাইরে রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, বার্ষিক ও সাময়িক পরীক্ষায় ৪০ শতাংশ নম্বর না পাওয়া, ৮০ শতাংশ কর্মদিবসে উপস্থিত না থাকা ও পৌরসভার বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির আওতায় না আসা ইত্যাদি। প্রাপ্ত পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, চাঁদপুর সদরে ২০১৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া প্রাথমিক শিক্ষার্থী ৬১ হাজার ৭৯৪ জন। এর মধ্যে উপবৃত্তির আওতায় এসেছে ২২ হাজার ৪৮৮ জন।
হাজীগঞ্জে ভর্তি হওয়া প্রাথমিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৯ হাজার ৯০৯। এর মধ্যে উপবৃত্তির আওতায় এসেছে ২০ হাজার ৩২৪ জন। হাইমচরে ২৭ হাজার ৫৭১ শিক্ষার্থীর মধ্যে উপবৃত্তির আওতায় এসেছে ১১ হাজার ৭৩৮ জন। মতলব উত্তরে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী ৪২ হাজার ৮৯৭ জন। এর মধ্যে উপবৃত্তির আওতায় এসেছে ২৮ হাজার ৯৭৪ জন।
মতলব দক্ষিণে ১৪ হাজার ৫০৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে উপবৃত্তির আওতায় এসেছে ৯ হাজার ৪৭০ জন।
কচুয়ায় ভর্তি হওয়া প্রাথমিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫২ হাজার ৪১৩ জন। এর মধ্যে উপবৃত্তির আওতায় এসেছে ২৭ হাজার ১১৭ জন। ফরিদগঞ্জে ৫০ হাজার ৪৫০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩১ হাজার ৩ জন উপবৃত্তির আওতায় এসেছে।
শাহরাস্তিতে ভর্তি হওয়া প্রাথমিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৩ হাজার ৪৫০, যার মধ্যে ১৪ হাজার ৭৫৫ জন এসেছে উপবৃত্তির আওতায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সদরের একজন প্রধান শিক্ষক বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী উপবৃত্তির আওতার বাইরে থাকার কারণ হিসেবে বলেন, পৌরসভার বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা সরকারি বিধিমতে উপবৃত্তির আওতায় আসে না এবং ইউনিয়নভিত্তিক স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের অনেকেই শর্তপূরণে ব্যর্থ হওয়ায় উপবৃত্তির আওতার বাইরে রয়েছে।
এদিকে প্রতিবছর পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা শেষ হয়, প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির আওতায় চলে আসে।
(ঢাকাটাইমস/২৩ডিসেম্বর/মোআ)
মন্তব্য করুন