আবর্জনার দুর্গন্ধে দুর্ভোগ পৌরবাসীর
মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার বাসাবাড়ির ময়লা আবর্জনা ফেলার ডাম্পিং গ্রাউন্ড (ময়লা ফেলার ভাগার) থাকলেও সেখানে তা ফেলা হচ্ছে না। যত্রতত্র ময়লা ফেলার কারণে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পৌরবাসীকে। তবে পৌরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তারা নির্দিষ্ট সময়েই ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পৌর এলাকার কিছু কিছু জায়গায় ময়লা ফেলার অস্থায়ী ডাম থাকার পরেও ময়লা আবর্জনা মাটিতে পড়ে আছে। আবার কোনো কোনো স্থানে ডাম না থাকায় রাস্তার পাশেই ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখা হয়েছে। এসব ময়লা আবর্জনা নির্দিষ্ট সময়ে না সরানোর কারণে গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে।
মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকার সবজি আড়তদার মজিবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের এই সবজির আড়ত জেলার সবচেয়ে বড়। অথচ এই আড়তে কোনো জায়গায় ময়লা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট স্থান নেই। এ কারণে ময়লা রাস্তার পাশে রাখা হয়। সেখান থেকে পৌরসভার শ্রমিকরা ময়লা আবর্জনা ট্রাকে করে নিয়ে যায়।’
হেলাল উদ্দিন নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন এই আড়তে টেম্পু নিয়ে আসি সবজি কিনতে। কিন্তু আড়তের ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে এখানে দাঁড়ানো যায় না। গন্ধের কারণে এখানকার হোটেলগুলোতে সকালে নাস্তা করাও যায় না।’
মুখলেস উদ্দিন নামের এক আড়তদার বলেন, ‘গন্ধের কথা পৌর কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা সময় মত ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করে না।’
পশ্চিম দাশড়ার লঞ্চঘাট এলাকার জসিম উদ্দিন জানান, আমাদের এলাকার বাসাবাড়ির ময়লা আবর্জনা এক জায়গায় রাখতে অস্থায়ী ডাম বসিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ডামটি নির্দিষ্ট সময়ে পরিষ্কার করা হয় না। গন্ধে এলাকার মানুষ মুখ বন্ধ করে চলাচল করে।’
মানিকগঞ্জ পৌরসভার পরিছন্নতা পরিদর্শক রাজিব কান্ত গোস্বামী জানান, পৌর এলাকার বাসা বাড়ির ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার রাখতে শ্রমিক রয়েছে ৫৩ জন, সুইপার ৩৬জন ও ডোম রয়েছে একজন। এছাড়া ময়লা আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে নিতে তিনটি ট্রাক ও ১৩টি ছোটো ভ্যানগাড়ি রয়েছে।
তিনি বলেন, ৯০ জন কর্মচারী ও চাহিদার চেয়ে যানবাহন কম থাকায় শহরের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ কারণে অনেক সময় শহর পুরোপুরি পরিষ্কার রাখা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয় না।
মানিকগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র আরশেদ আলী বলেন, শহর পরিস্কার পরিছন্ন রাখতে বাসাবাড়ির ময়লা আবর্জনা এক জায়গায় রাখতে পরীক্ষামূলক ভাবে ৫০টি ছোট ডাম বিভিন্ন এলাকায় বসানো হয়েছে। এতে ভাল সুফল পাওয়া গেছে। তবে লোকবল ও যানবাহন কম থাকায় মাঝে মধ্যে আমাদের হিমশিম খেতে হয়। তবে কোনো এলাকায় ময়লা আবর্জনা থাকলে আমাদের ফোন করলে দ্রুত সেখানকার ময়লা পরিষ্কার করে দেওয়া হয়।
(ঢাকাটাইমস/৪ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/জেডএ)
মন্তব্য করুন