ধামরাইয়ে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হানিফ ছিলেন দুর্ধর্ষ ডাকাত দলনেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০১৬, ২২:৫৬ | প্রকাশিত : ০৫ ডিসেম্বর ২০১৬, ২২:৪৪

ঢাকার ধামরাইয়ে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত আবু হানিফ একজন দুর্ধর্ষ ডাকাত দলের নেতা ছিলেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান ফিরোজ। তিনি জানান, হানিফ এক যুগেরও বেশী সময় ধরে ছিনতাই ও ডাকাতির মত প্রায় অর্ধশত ঘটনা ঘটিয়েছে।

সোমবার রাতে ঘটনার প্রায় ১৪ ঘণ্টা পর ধামরাই থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে নিহত আবু হানিফ সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য প্রকাশ করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

পুলিশের এই কর্মকর্তা প্রেস বিফ্রিংয়ে জানান, প্রায় দেড় যুগ আগে বরিশাল জেলার বানোরিপাড়া থানার শাখাড়িয়া গ্রামের শমসের আলীর ছেলে আবু হানিফ ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে কাজের সন্ধানে আসেন। এরপর তিনি কিছু দিন নানা কাজের সঙ্গে জড়িত থাকলেও পরে ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়েন। পরে রাজধানীসহ এর আশে পাশের টাঙ্গাইল, নারায়নগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, গাজীপুর, সাভার, ধামরাই, আশুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটাতে থাকেন।

২০১৪ সালে ধামরাই থানায় ৮৬ লাখ টাকা ডাকাতি, ২০১৬ সালে আশুলিয়ায় বিকাশের ১৫ লাখ টাকা, টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ৬৬ লাখ, গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ১ কোটি ৩৩ লাখ ও জয়দেবুপরে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনার মূল হোতা ছিলেন হানিফ। এসব টাকা তিনি তার একটি ফেইক বেসরকারি ব্যাংকের একাউন্টের মাধ্যমে খরচ করতেন। এসব টাকা দিয়েই কামরাঙ্গীরচর এলাকায় নিজ বাড়ি নির্মাণ করেন তিনি।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, ডিএমপি, সাভার, আশুলিয়া, ধামরাই, গাজীপরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তার নামে প্রায় ডজন খানেক মামলা রয়েছে। আর এসব মামলায় সে এতদিন পলাতক ছিলো। এছাড়া গত মাসে আশুলিয়ায় দুই বিকাশ কর্মীকে গুলি করে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় তাকে খুঁজছিলো আশুলিয়া থানা পুলিশ। এরপর তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করে। অবশেষে গত রবিবার রাতে কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে হানিফকে আটক করে আশুলিয়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক কামরুল ইসলাম। এরপর তার দেওয়া তথ্য মতে ধামরাইয়ের সানোরা ইউনিয়নের ঝাউকে গ্রামে অভিযানে যায় ধামরাই ও আশুলিয়া থানা পুলিশ।

এসময় পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা হানিফের সঙ্গীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে প্রায় ২০ রাউন্ড গুলি বিনিময় করে। পরে ভোর রাতে পুলিশ আবু হানিফকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই এলাকায় খুঁজে পায়। এসময় ঘটনাস্থল হতে উদ্ধার করা হয় একটি বিদেশি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি ও দুটি রামদাসহ বেশ কিছু দেশিয় অস্ত্র।

পরে হানিফকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে ততক্ষণে হানিফের অন্যান্য সঙ্গীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

এঘটনায় সোমবার ভোর রাত হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধামরাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিন জনকে আটক করে। আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাবাসাবাদে ডাকাতির কথা স্বীকার করেছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

(ঢাকাটাইমস/০৫ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :