‘এই বিমান চাই না’

হাবিবুল্লাহ ফাহাদ
 | প্রকাশিত : ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬, ০৮:৩০

সময়মতো উড়ে না ফ্লাইট। টিকিট সংকট দেখানোর পরও আসন খালি। প্রায়ই যান্ত্রিক ত্রুটির বিড়ম্বনা। তাই বলে প্রধানমন্ত্রীর বিমান নিয়েও অবহেলা? কীভাবে চলছে বিমান? আকাশ পথে যাত্রা কতটা নিরাপদ? এসব প্রশ্ন এখন সামনে।

প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানে ত্রুটির ঘটনায় নতুন করে ভাবমূর্তি সংকটে যাত্রী পরিবহনকারী রাষ্ট্রীয় আকাশযান প্রতিষ্ঠান। নিয়মিত যারা কমবেশি বিমানে এদেশ থেকে ওদেশে উড়ে যান-তাদের একজনের ভাষ্য, ‘মনে হয় এই বুঝি উড়ে গেল প্রাণবায়ু।’ তারপর? ‘ফ্লাইটের সিডিউল বিপর্যয়, শুনতে শুনতে গা সওয়া হয়ে গেছে। শেষ কবে ঠিক সময়ে বিমান উড়েছে এটা বোধহয় বিমান পরিচালনায় যারা আছেন তারাও বলতে পারবেন না।’

যাত্রীরাই বলছেন, ‘বিমানের বেলায় যান্ত্রিক ত্রুটি খুবই সাধারণ সমস্যা। হরহামেশাই এটা শোনা যায়। শুধু তাই নয়, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে জরুরি অবতরণের ঘটনা প্রায়ই ঘটে।’

সবশেষ ঘটনা ঘটাল বোয়িং ‘রাঙা প্রভাত’। প্রভাতে নয়, সন্ধ্যায় নেমে পড়েছিল তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশখাবাতে। গত ২৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছিলেন ফ্লাইটিতে। যাচ্ছিলেন হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে। পানি সম্মেলনে যোগ দিতে। তাহলে আশখাবাতে কেন? ওই যে যান্ত্রিক ত্রুটি। দুটি ইঞ্জিনের একটিতে ‘ইঞ্জিন ওয়েল’ কমে গিয়েছিল। পরে নাট-বল্টুতে কারিগরি ছোঁয়ায় ‘রাঙা প্রভাত’ উড়েছিল বুদাপেস্টের আকাশে। প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানের এই দশায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে অন্যদের মনে। সরকারপ্রধানের নিরাপত্তার ব্যাপারে যখন লাল-সবুজের পতাকাবাহী উড়োযানটির এই উদাসীনতা সেখানে সাধারণ যাত্রীর কী অবস্থা? বুঝতে আর বাকি থাকে না। বলতে হয় না, ‘অবস্থা নাজেহাল।’

এবার আসুন যাত্রী সেবার প্রশ্নে। বিমানে চড়বেন? টিকিট যে লাগবে। নেই, টিকিট নেই। চাইলেন, পেয়ে গেলেন এ হয় না বিমানে। টিকিটের সংকট সারা বছরই লেগে থাকে। আবার মাঝেমধ্যে দেখা যায়, সিট খালি রেখেই উড়ছে বিমান। তাহলে টিকিটের অনটন, সেটা কি ছিল? এসব প্রশ্নের উত্তর কে দেবে?

ধরুন টিকিট পেলেন। চড়ে বসলেন বিমানে। সব শেষ? যাত্রী সেবা নিয়ে আছে ঢের আপত্তি। খাবারের মান, যাত্রী সেবায় নিয়োজিতদের ব্যবহার কোনটা প্রশংসার মতো? বলার দরকার নেই, বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিনই কমবেশি শ্রমশক্তি বিদেশে যাচ্ছে। তাদের পাঠানো রেমিটেন্স দেশের অর্থনীতির চাকা অনেকটা সচল রাখতে সহায়ক। কিন্তু সেই শ্রমিকদের অনেকের অভিযোগ, বিমানে যাত্রী সেবায় নিয়োজিতরা কিংবা সংশ্লিষ্টদের ব্যবহার সহনীয় নয়।

অনেক ক্ষেত্রে তাদের দুর্ব্যবহার নীরবে সয়ে যাওয়া ছাড়া করার কিছু থাকে না। তাহলে আকাশ পথের রাষ্ট্রীয় এই যানটি কাদের জন্য? তার ওপর দুর্নীতি-অনিয়মের ফিরিস্তি দু-এক কথায় শেষ করা যাবে না। আমরা কি আসলে এই বিমান চাই? কেউ রাখঢাক রেখে উত্তর দেবেন বলে মনে হয় না। বরং স্পষ্টই বলবেন, ‘এই বিমান আমরা চাই না।’

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স যতটা লাভজনক প্রতিষ্ঠান হতে পারত, তত নয়। প্রতিটি পর্যায়ে দুর্নীতি-অনিয়ম এমনভাবে ছড়িয়ে পড়েছে যে, রাতারাতি সব খোলনলচে পাল্টানো অসম্ভব। একথা জানেন এখাতের মন্ত্রীও। সম্প্রতি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির কারণেই কাক্সিক্ষত সাফল্য বিমানে আসছে না। আমি মনে করি, সরকার এ ক্ষেত্রে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে পারছে না। কর্মচারীদের বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নই সরকারি কর্মকা-কে নানা কূটকৌশলে ব্যর্থ করে দিচ্ছে।’

তাহলে উপায়? দিনের পর দিন, বছরের পর বছর এভাবেই চলবে বিমান? সে উত্তরও দিয়েছেন রাশেদ খান মেনন। গত ১ ডিসেম্বর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিমানকে ঢেলে সাজানোর চিন্তা তারা করছেন। প্রধানমন্ত্রীর ফ্লাইট যান্ত্রিক ত্রুটির সঙ্গে বিমান কর্মকর্তাদের অবহেলার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ার পর এই আলোচনা হচ্ছে।’

বিমান নিয়ে উৎকণ্ঠার কমতি নেই সংসদীয় কমিটিরও। বেসামরিক বিমান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ফারুক খানের কথায় সেই সুর। এই সময়কে তিনি বললেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ফ্লাইটে ত্রুটির পর বসে থাকার কিছু নেই। এ ঘটনায় দোষীদের অবশ্যই শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এখানে নাশকতা চেষ্টার পুরোপুরি প্রমাণ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ বিমানের সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শুরু থেকেই সংসদীয় কমিটি বিমানের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে সরব। বিমানকে খাদের কিনারা থেকে যতটুকু সম্ভব টেনে তোলার চেষ্টা হয়েছে। এখনো যেসব অব্যবস্থাপনা রয়ে গেছে তা পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা রাতারাতি সম্ভব হবে না। তবে সংসদীয় কমিটি এ নিয়ে বরাবরের মতোই সরব থাকবে।’

বিমান চেয়ারম্যান ইনামুল বারীও মনে করেন বিমানকে এখনো আরও গোছানোর সুযোগ আছে। আন্তর্জাতিক মানদ-ের ভিত্তিতে এটিকে সবার সন্তোষের জায়গাতেও নিয়ে যাওয়া সম্ভব। তিনি বলেন, ‘বিমানের বিরুদ্ধে যত অভিযোগের কথা বলা হয় সব ঠিক না। কিছু ত্রুটি হয়ত রয়েছে। তবে বিমান অচল হয়ে নেই। সবাই আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে।’

প্রধানমন্ত্রীর ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটির বিষয়ে বিমান চেয়ারম্যান বলেন, ‘এটা মেনে নেওয়ার মতো না। আমি নিজেও এনিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম। যখনই খবর পেয়েছি বিকল্প ব্যবস্থা করেছি। ঘটনাটি স্পর্শকাতর। এনিয়ে বেশি মন্তব্য করতে চাই না। যাদের অবহেলায় এটা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্ত কমিটি যাদের ব্যাপারে আপত্তি করেছে তাদের ইতিমধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে।’

খোঁজা হচ্ছে দুর্নীতিবাজদের

প্রধানমন্ত্রীর ফ্লাইট ত্রুটির ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে বিমান কর্তৃপক্ষ। সমস্যাগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা হচ্ছে। পাশাপাশি যাদের কারণে বিমান নিয়ে এত প্রশ্ন, এত অভিযোগ সেই মুখগুলো চিহ্নিত হচ্ছে নতুন করে। গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা এরই মধ্যে এ কাজ শুরু করে দিয়েছেন। অনিয়ম-দুর্নীতিবাজদের খুঁজে বের করার এই তৎপরতায় অবশ্য কিছু কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী বুঝেশুনে পা ফেলছেন। বিমানের ঊর্ধ্বতন একাধিক সূত্রে এমনটা শোনা যাচ্ছে। বিমান সংশ্লিষ্টরাই বলছেন, অতীতেও বিভিন্ন সময় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নানা বিষয়ে অনিয়ম ও অবহেলা ধরা পড়েছে। কিন্তু দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার নজির নেই। যে কারণে পরে আবারও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।

কমিশন আর যন্ত্রাংশ বাণিজ্য বেশ পুরনো

বিমানে যন্ত্রাংশ ক্রয়ে কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ বেশ পুরনো। অভিযোগ আছে, একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে এসব কাজ করে আসছে। বিমানের বেশির ভাগ বোয়িং পুরনো। এগুলোর ব্যবস্থাপনার ব্যয় বেশি। কদিন পর পরই যান্ত্রিক সরঞ্জাম কেনাকাটার দরকার হয়। এসব খাতেই মূলত অর্থ বেহাত হয় বেশি।

জানতে চাইলে বিমান পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য কাজী ওয়াহেদুল আলম বলেন, উড়োজাহাজের খুচরা যন্ত্রাংশ পরিবর্তনের নামে বিমান কর্মকর্তাদের কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ বহু পুরনো। এ থেকে বেরিয়ে আসতে হলে বিমানের ব্যবস্থাপনাকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। তিনি বলেন, বিমানের বহরে বর্তমানে যেসব উড়োজাহাজ রয়েছে, সেগুলো অনেক পুরনো। এ কারণে এগুলোর পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়ও অনেক বেশি।

অব্যবস্থাপনায় ব্যবস্থা নেওয়ার নজির কম

প্রধানমন্ত্রীর ফ্লাইটের যান্ত্রিক ত্রুটিই প্রথম ঘটনা নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে জরুরি ফ্লাইট অবতরণসহ যাত্রী দুর্ভোগ হয়েছে। কিন্তু এসব ঘটনায় দৃশ্যমান কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নজির নেই বললেই চলে। বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাছে নিজেদের সুনাম হবে ভাবনা থেকে দোষীদের বিরুদ্ধে কখনই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং স্বাভাবিকভাবেই নেওয়া হয়েছে এসব ঘটনা। যে কারণে ‘রাঙা প্রভাতে’ ত্রুটি দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তারা বলছেন, অতীতে যদি অব্যবস্থাপনা, অবহেলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতো তাহলে সরকারপ্রধানকে বহন করা বিমানটি এমন কেলেঙ্কারির সূচনা করত না।

ঘটনার তদন্তে গেলেই যাত্রী জিম্মি!

ঘটনার তদন্ত করতে গেলে বাধার মুখে পড়তে হয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে। তারা জিম্মি হয়ে পড়েন পাইলট, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হাতে। শুরু হয় ধর্মঘট। নানা কর্মসূচি। বিপদে পড়েন যাত্রীরা। পাইলট থেকে শুরু করে বিমান কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রত্যেকেই নানা সংগঠনের ব্যানারে এসব অচল কা- অতীতে ঘটিয়েছেন।

এ অবস্থা থেকে উঠে আসতে সমন্বিত কোনো উদ্যোগও নেই বিমানের। বিমানের এক কর্মকর্তা জানান, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই বিমানে এখন হর্তাকর্তা। এদের শক্তি যত বাড়ছে, বিমানযাত্রা ততই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। যাত্রীসেবার মান কমছে। অনিরাপদ হচ্ছে আকাশ পথের এই যানটি।

চোরাচালানেও যুক্ত পাইলটদের কেউ কেউ

বিমানের অনেক পাইলটের বিরুদ্ধে চোরাচালনসহ অনৈতিক কা-ের অভিযোগ আছে। এসব গোপন নয়। বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কথায় কান পাতলে শোনা যায়। এসব নিয়ে কমবেশি গুঞ্জন থাকে বিমানের প্রধান কার্যালয়ে। বিমান কর্তৃপক্ষ অনেক বিষয় আগে থেকে জানার পরও নিশ্চুপ থাকে, এমন অভিযোগও আছে। তাদের শঙ্কা অহেতুক আন্দোলনের নামে যাত্রীরা যেন ভোগান্তিতে না পড়েন। দুর্ভোগ পোহাতে না হয় বিমানের সেবাগ্রহণকারীদের।

বিমানের একাধিক কর্মকর্তা এই সময়কে বলেন, চোরাচালানে জড়িত চিহ্নিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যতক্ষণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা না পড়েন, ততক্ষণ বিমান কর্তৃপক্ষ তাদের ব্যাপারে থাকে নিশ্চুপ। ১২৪ কেজি সোনা চোরাচালান মামলায় গ্রেপ্তার পাইলট বছরের পর বছর স্মাগলিংয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলেও স্বীকার করেছেন। অথচ বিমান কর্তৃপক্ষ সংস্থার সম্মান নষ্ট হওয়ার অজুহাতে এদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

কোম্পানি শুধু ঘোষণাতেই

দীর্ঘদিনের চলমান অনিয়ম বন্ধে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বাংলাদেশ বিমান করপোরেশনকে কোম্পানিতে রূপান্তরিত করা হয়। কিন্তু এটা এখন পর্যন্ত ঘোষণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। কোম্পানি আইন অনুযায়ী এর কার্যক্রম চলছে না। প্রায় এক দশক অতিবাহিত হলেও বাজারে এর শেয়ার ছাড়া হয়নি।

প্রতিবছর পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দিয়ে থাকে সরকার। কোম্পানি ঘোষণার পর থেকেই জাতীয় পতাকাবাহী এ সংস্থায় নিয়ম অনিয়মে পরিণত হয়েছে। বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেননও বলেছেন, বিমানের ওপর মন্ত্রণালয়ের কার্যত কোনো কর্তৃত্ব নেই। মন্ত্রণালয়ের সচিব শুধু বিমান পরিচালনা পর্ষদের একজন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

নাশকতা কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে, বরখাস্ত ছয়

প্রধানমন্ত্রীর ফ্লাইটে ত্রুটির ঘটনা বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অয়েল ট্যাংকের ভেতরের একটি নাট-বল্টু ঢিলা ছিল। এ কারণে ট্যাংক থেকে অয়েল বের হয়ে পড়ে যায়। কেন তা ঢিলা ছিল তা খতিয়ে দেখছে তদন্ত কমিটি। এটা নাশকতার (সাবোটাজ) মূল আলামত হিসেবে দেখা হচ্ছে।

তদন্তে দেখা গেছে, চাকরির বয়স শেষ হওয়ার পরও তিন দফা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত বিমানের ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার পদস্থ এক কর্মকর্তার অদক্ষতা ও গাফিলতি ছিল। শিগগিরই তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।

অন্যদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী গত ৩০ নভেম্বর প্রকৌশল শাখার পাঁচজন গ্রাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার ও একজন টেকনিশিয়ানকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এরা হলেনÑ গ্রাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার এস এম রুকনজ্জামান, সামিউল হক, লুতফর রহমান, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসাইন এবং টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমান। তাদের সবাইকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান এরশাদ

এ বছরের মার্চের শেষের দিকের ঘটনা। সিঙ্গাপুর থেকে বিমানের একটি ফ্লাইটে ঢাকা ফিরছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। হঠাৎ যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় বিমানে। দুটি ইঞ্জিনের একটিতে আগুন লেগে যায়। এরপর বিমানের পাইলট দ্রুত বিমানবন্দর কন্ট্রোল টাওয়ারে ওই তথ্য পাঠান। এ সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনা এড়াতে বিমানবন্দরে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।

পাইলটের বুদ্ধিমত্তায় কোনো ধরনের অঘটন ছাড়াই বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করানো হয় ফ্লাইটটিকে। এরশাদের সঙ্গে ছিলেন পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব জিয়া উদ্দিন বাবলু। এছাড়া আরও ২০৩ জন যাত্রী ছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিবেদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন এর সর্বশেষ

মজুত ফুরালেই বাড়তি দামে বিক্রি হবে সয়াবিন তেল

কোন দিকে মোড় নিচ্ছে ইরান-ইসরায়েল সংকট

ছাদ থেকে পড়ে ডিবি কর্মকর্তার গৃহকর্মীর মৃত্যু: প্রতিবেদনে আদালতকে যা জানাল পুলিশ

উইমেন্স ওয়ার্ল্ড: স্পর্শকাতর ভিডিও পর্নোগ্রাফিতে গেছে কি না খুঁজছে পুলিশ

জাবির হলে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে জঙ্গলে ধর্ষণ, কোথায় আটকে আছে তদন্ত?

নাথান বমের স্ত্রী কোথায়

চালের বস্তায় জাত-দাম লিখতে গড়িমসি

গুলিস্তান আন্ডারপাসে অপরিকল্পিত পাতাল মার্কেট অতি অগ্নিঝুঁকিতে 

সিদ্ধেশ্বরীতে ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু: তিন মাস পেরিয়ে গেলেও অন্ধকারে পুলিশ

রং মাখানো তুলি কাগজ ছুঁলেই হয়ে উঠছে একেকটা তিমিরবিনাশি গল্প

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :