স্ত্রীর স্বীকৃতি চেয়ে পুলিশ কর্মকর্তাকে পিটুনির পর গণপিটুনি
বিয়ে করার পরও স্বীকৃতি না দেয়ার অভিযোগ এনে পুলিশ কর্মকর্তাকে পেটাচ্ছিলেন এক নারী। জনতা ঘটনাটি জানতে পারার পর ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে আরও এক দফা পিটুনি খেতে হয়।
ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম দবিয়ার রহমান। তিনি পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক বা এএসআই হিসেবে কর্মরত।
অভিযোগকারী নারী মাসুদা বেগম জানান, দবিয়ার রহমানের স্ত্রী থাকলেও তার সঙ্গেও সম্পর্কে জড়ান তিনি। গত ৪ নভেম্বর ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় তাকে বিয়ে করেন। পরে রাণীশংকৈলে ফিরে তাকে রামরায় দীঘির পাশে একটি ভাড়া বাসায় তুলেন। সম্প্রতি তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এরপর দবিয়ার ওই সন্তান নষ্ট করে দেন।এই পর্যায়ে দবিয়ারকে তার কোয়ার্টারে তুলতে চাপ দিতে থাকেন মাসুদা বেগম। কিন্তু দবিয়ার তাকে অস্বীকার করেন। পরে মাসুদা বেগম গত ২৭ নভেম্বর জেলার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ পাওয়ার পর রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিমকে অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। আর তদন্ত চলাকালে দবিয়ার যেন কোনো প্রভাব বিস্তার করতে না পারেন সে জন্য মঙ্গলবার তাকে রুহিয়া থানায় বদলি করা হয়।
বদলরি খবর জানতে পেরে মাসুদা বেগম বুধবার সকালে রুহিয়ায় এসে দবিয়ার রহমানকে ডেকে নেন। এক নং রুহিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে কথাবার্তার এক পর্যায়ে দবিয়ারের ওপর চড়াও হন মাসুদা। তিনি তাকে কিলঘুষি মারতে থাকেন। দবিয়ারও এরপর পাল্টা আঘাত করেন মাসুদাকে।
পরে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে দবিয়ারকে পিটুনি দেয়। খবর পেয়ে রুহিয়া থানা থেকে আসা একদল পুলিশ দবিয়ার রহমানকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় এবং মাসুদা বেগমকে উপস্থিত লোকজন ঠাকুরগাঁও হাসপাতালে ভর্তি করে।
রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খান মো. শাহরিয়ার ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘মাসুদা বেগম নামে এক নারী এএসআই দবিয়ার রহমানকে স্বামী হিসেবে দাবি করলেও তিনি দ্বিতীয় বিয়ের কথা অস্বীকার করেছেন। যতটুকু জেনেছি ওই মহিলা এসপি মহোদয়ের কাছে লিখিত অভিযোগ করেই ক্ষান্ত হয়নি। আদালতে মামলাও করেছেন। তারপরও সে একজন ডিউটিরত পুলিশ কর্মকর্তাকে রাস্তায় আটক করেছে বেইজ্জতি ও লাঞ্ছিত করেছে।’
ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার ফরহাত আহম্মদ জানান, তিনি বিভাগীয় সম্মেলনে রংপুরে রয়েছেন। ঠাকুরগাঁও ফিরে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।
(ঢাকাটাইমস/৭ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি)