দুর্নীতি মামলা

খালেদার আবেদন শুনতে বিব্রত বিচারপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৭ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৮:৫৬
ফাইল ছবি

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দুদকের পক্ষের ৩২ সাক্ষীর সাক্ষ্য বাতিল করে পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণ করতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আবেদন শুনানি করতে বিব্রতবোধ করেছেন হাইকোর্ট বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হক।

বুধবার বিচারপতি ফরিদ আহমেদ ও বিচারপতি একেএম সাহিদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য আসে। এসময় জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ফরিদ আহমেদ শুনানি শুরু করলে কনিষ্ঠ বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হক তাতে বিব্রতবোধ করেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও দুদকের আইনজীবী দুজনই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, আবেদনটির শুনানি শুরু হলে কনিষ্ঠ বিচারপতি বিব্রতবোধ করেন। পরে মামলাটি আদেশের জন্য আগামীকালের কার্যতালিকায় রাখেন আদালত। নিয়ম অনুযায়ী এখন মামলাটি প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। তিনি শুনানির জন্য তৃতীয় একটি বেঞ্চ ঠিক করে দিবেন।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খানও খালেদা জিয়ার আবেদনের শুনানিতে বিচারপতির বিব্রতবোধ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল মঙ্গলবার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা স্থগিত ও সাক্ষ্য বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। মামলা দাবি করা হয়, এ মামলায় দুদকের পক্ষে ৩২ জন সাক্ষী তাদের জবানবন্দি প্রদান করেছেন। সাক্ষ্যগ্রহণের নিয়ম হলো জবানবন্দি দেয়ার পূর্বে নিজ নিজ ধর্ম অনুযায়ী শপথ নেওয়া। কিন্তু একজন সাক্ষীও শপথ গ্রহণ করেননি। তাই তাদের জবানবন্দি সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না।

বকশিবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালতে মামলাটির বিচার কাজ চলছে।

গত ১ ডিসেম্বর সর্বশেষ শুনানিতে খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে দেওয়া লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনানোর সময় ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের মাধ্যমে দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেন খালেদা জিয়া। তিনি দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে করা মামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আগামী ৮ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য ও খালেদা জিয়ার অসমাপ্ত আত্মপক্ষ সমর্থেনের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

এ মামলায় খালেদা ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান জামিনে রয়েছেন। এ দুইজন ইতিমধ্যে আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন।

এ মামলায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর-রশিদকে পুনরায় জেরা করার জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার এ আবেদন হাইকোর্ট খারিজ করে দিলে তিনি লিভ টু আপিল করেন। আপিল বিভাগ তার লিভ টু আপিল গ্রহণ করে গত ৮ সেপ্টেম্বর দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা হারুন-অররশিদকে জেরা করার অনুমতি দেন। হারুন-অর-রশিদের জেরা করা সম্পন্ন করেছে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে আসা ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলাটি করে দুদ)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরের বছরের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়।

(ঢাকাটাইমস/৭ডিসেম্বর/এমএবি/এমআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমারকে কারাগারে পাঠালেন আদালত

৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম

বিচারপতির আসনে ছাদ বেয়ে পানি, বিচারকাজ বন্ধ ১৮ মিনিট

আগাম জামিন পেলেন অ্যাডভোকেট যুথিসহ চার আইনজীবী

জামিন নিতে এসে রায় শুনে পালিয়ে গেলেন হলমার্ক কেলেঙ্কারির আসামি

তিন মাসের মধ্যে সালাম মুর্শেদীকে গুলশানের বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ

হলমার্ক কেলেঙ্কারি: তানভীর ও তার স্ত্রীসহ নয়জনের যাবজ্জীবন

সুপ্রিম কোর্ট বারে মারামারি: নাহিদ সুলতানা যুথীর জামিন শুনতে নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ

পি কে হালদারের ১৩ সহযোগীর সাজা বাড়ানোর আবেদন দুদকের

ড. ইউনূসের সাজা ও দণ্ড স্থগিতের আদেশ হাইকোর্টে বাতিল

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :