বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি: দুই সচিবকে আপিল বিভাগে তলব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০১৬, ১২:০৮ | প্রকাশিত : ০৮ ডিসেম্বর ২০১৬, ১০:৩৯

অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ করতে না পারায় আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে তলব করেছে আপিল বিভাগ। তারা হলেন- আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ শাখার সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক দুলাল এবং লেজিসলেটিভ ও ড্রাফটিং বিভাগ শাখার সচিব শহিদুল হক। আগামী সোমবার সকালে তাদের আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া নয়টায় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের আট বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালত বলেন, গেজেট প্রণয়নে বার বার সময় দেওয়া সত্ত্বেও এখনও তা প্রকাশ করা হয়নি। এটা গ্রহণযোগ্য নয়।

রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আজও গেজেট প্রকাশের জন্য সময় চেয়ে আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ।

গত ১ ডিসেম্বর গেজেট প্রকাশের জন্য এক সপ্তাহ সময় বাড়ান আদালত। এর আগে গত ২৪ নভেম্বর এক সপ্তাহ সময় দেয় আপিল বিভাগ। গত ৭ নভেম্বর বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ করতে করতে সরকারকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় আপিল বিভাগ। ওই দিন আপিল বিভাগ বলেছিলেন, এটাই শেষ সময়। আর কোনো সময় দেয়া হবে না। ওই দিন বিধিমালা প্রণয়নের কাজ কতদূর এগিয়েছে সে বিষয়ে একটি এফিডেভিট দাখিল করেছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

তাতে বলা হয়, চাকরির শৃঙ্খলা বিধির খসড়া রাষ্ট্রপতির দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কবে পাঠানো হয়েছে সুনির্দিষ্টভাবে দিনক্ষণ উল্লেখ না থাকায় আপিল বিভাগ বলেছে, আপনাদের এই আবেদন অস্পষ্ট। এরপর ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেয় আদালত।

আদালত সূত্র জানায়, ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেয়া হয়। ওই রায়ের আলোকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল। আপিল বিভাগের নির্দেশনার পর গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় একটি খসড়া শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধি প্রস্তুত করে সুপ্রিমকোর্টে পাঠায়।

গত ২৮ আগস্ট এই মামলার শুনানিতে আপিল বিভাগ জানান, শৃঙ্খলা বিধিমালা সংক্রান্ত সরকারের খসড়াটি ছিল ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার হুবহু অনুরূপ। যা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট একটি খসড়া বিধিমালা করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। একইসঙ্গে ৬ নভেম্বরের মধ্যে তা প্রণয়ন করে প্রতিবেদন আকারে আদালতকে অবহিত করতে আইন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়।

বিচার বিভাগের স্বাধীনতার নয় বছরপূর্তি উপলক্ষে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা গত ৩১ অক্টোবর এক বাণীতে বিচার বিভাগে দ্বৈত শাসন চলছে বরে উল্লেখ করেছেন। বাণীতে তিনি বলেন, সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদে অধস্তন সকল আদালত ও ট্রাইব্যুনালের ওপর হাই কোর্টের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ থাকবে বলা হয়েছে। কিন্তু ১১৬ অনুচ্ছেদে যে বিধান দেওয়া হয়েছে তা বিচার বিভাগের ধীরগতির অন্যতম কারণ। এই অনুচ্ছেদ অনুসারে অধস্তন আদালতের বিচারকদের পদোন্নতি, বদলি এবং শৃঙ্খলামূলক কার্যক্রম সুপ্রিম কোর্টের পক্ষে এককভাবে গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। দ্বৈত শাসনের ফলে বহু জেলায় শূন্য পদে সময়মত বিচারক নিয়োগ প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে বিচার কাজে বিঘ্ন ঘটে এবং বিচারপ্রার্থী জনগণের ভোগান্তি বেড়ে যায়। ১১৬ অনুচ্ছেদ পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য তিনি বাণীতে উল্লেখ করেন।

(ঢাকাটাইমস/৮ডিসেম্বর/এমএবি/এমআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

ব্যবসায়ী নাসিরের মামলা: পরীমনিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

বোট ক্লাব কাণ্ড: পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন

সেই রাতে ৮৭ হাজার টাকার মদ খেয়েছিলেন পরীমনি, পার্সেল না দেওয়ায় তাণ্ডব

বোট ক্লাব কাণ্ড: প্রতিবেদন দিল পিবিআই, ব্যবসায়ী নাসিরের মামলায় ফেঁসে যাচ্ছেন পরীমনি?

ড. ইউনূসকে স্থায়ী জামিন দেননি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল

সদরঘাটে লঞ্চ দুর্ঘটনা: আসামিদের তিনদিনের রিমান্ড

অরিত্রীর আত্মহত্যা: চতুর্থ বারের মতো পেছাল রায় ঘোষণার দিন, কী কারণ?

অরিত্রীর আত্মহত্যা: ভিকারুননিসার ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলার রায় আজ

বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বিকে হলের সিট ফেরত দেওয়ার নির্দেশ

আত্মসমর্পণের পর ট্রান্সকমের ৩ কর্মকর্তার জামিন

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :