করিমপুর যুদ্ধ দিবস আজ: সাত মুক্তিযোদ্ধাকে পুড়িয়ে হত্যা

ফরিদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০১৬, ১০:০০ | প্রকাশিত : ০৯ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:৪১

আজ ৯ ডিসেম্বর ফরিদপুরের ‘করিমপুর যুদ্ধ’ দিবস। প্রতি বছর ফরিদপুরবাসী গভীর শোক ও শ্রদ্ধার সঙ্গে দিনটি স্মরণ করে।

১৯৭১ সালের এই দিনে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে জেলার কানাইপুর ইউনিয়নের করিমপুরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের তুমুল রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়। এতে মুক্তিযোদ্ধা কাজী সালাউদ্দিন আহম্মেদ, মেজবাউদ্দিন নোফেলসহ সাতজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করায় হত্যা করা হয় আরও চারজন গ্রামবাসীকে। এই যুদ্ধে আহত হয় অর্ধশতাধিক মুক্তিযোদ্ধা। আর পাকিস্তানি বাহিনীর বেশ কিছু সৈনিকও নিহত হয় তখন।

করিমপুর যুদ্ধে অংশ নেয়া মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান জানান, যশোরে তখন স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ছে। হানাদার বাহিনী পিছু হটে ঢাকা ফিরছে। পথে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের করিমপুর ব্রিজের কাছে হানাদারদের একটি গাড়ি গ্রেনেড চার্জ করে উড়িয়ে দেয় শহীদ সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে প্রায় ৭৪ জন মুক্তিযোদ্ধার দল।

এর কিছুক্ষণের মধ্যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একটি বড় বহর ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছালে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হয়। একপর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধারা তিন-চার ভাগে বিভক্ত হয়ে পাল্টা গুলি করতে করতে পিছু হটে করিমপুর গ্রামে আশ্রয় নেন।

হানাদার বাহিনী গ্রামটি ঘিরে ফেলে। মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল যে বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল, সেই বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় হানাদার বাহিনী। সে সময় আগুনে পুড়ে শহীদ হন সাত মুক্তিযোদ্ধা- কাজী সালাউদ্দিন, নৌফেল, আব্দুল ওয়াহাব, সোহরাব হোসেন, আব্দুল আওয়াল, আব্দুল হামিদ ও মজিবুর রহমান।

মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেওয়ার অপরাধে হানাদারদের হাতে শহীদ হন নিরীহ গ্রামবাসী বাকেলউদ্দীন মন্ডল, হযরত উদ্দীন মন্ডল, হাশেম আলী মন্ডল ও স্থানীয় কৃষক আবু খাঁ। নিহত চারজনের পরিবারের সদস্যরা এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা।

করিমপুর যুদ্ধস্থলে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি জানিয়ে ফরিদপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আমিনুর রহমান ফরিদ বলেন, ‘দেশ স্বাধীনের দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও আজও সেখানে স্মৃতির মিনার না হওয়া আমাদের জন্য লজ্জাকর। তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, এখানে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হলে আগামী প্রজন্ম করিমপুর যুদ্ধ সম্পর্কে জানতে পারবে। ’

(ঢাকাটাইমস/৯ডিসেম্বর/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :