রাসুলের প্রতি দরুদ

ইসলাম ডেস্ক
 | প্রকাশিত : ১০ ডিসেম্বর ২০১৬, ২০:৩১

চলছে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস। এই মাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইসলামের নবী মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অসংখ্য স্মৃতি। তাঁকে স্মরণ করা, তাঁর আদর্শ অনুসরণ করা প্রতিটি মুসলমানের ওপর কর্তব্য। রাসুলুল্লাহর (সা.) ওপর দরুদ পাঠ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। এর দ্বারা আল্লাহ ও রাসুলের সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তার ফেরেশতারা নবীর ওপর রহমত প্রেরণ করেন। হে মুমিনগণ, তোমরা নবীর জন্য রহমতের দোয়া কর এবং তার প্রতি সালাম পাঠাও।’ এটা আমাদের প্রিয়নবীর (সা.) একমাত্র বৈশিষ্ট্য যে, তাঁর ওপর আল্লাহ ও ফেরেশতারা দরুদ পাঠান। তাঁর কল্যাণের জন্য দোয়া করেন। আল্লাহর পরেই মানবজাতির ওপর সবচেয়ে অনুগ্রহশীল হলেন রাসুলুল্লাহ (সা.)।

এ জন্য তাঁর মর্যাদা ও বিশেষত্ব অন্য সব নবীর চেয়ে বেশি। দরুদ শরিফ স্বতন্ত্র একটি ইবাদত। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরুদ পড়ে, আল্লাহ তায়ালা তার ওপর দশবার রহমত বর্ষণ করেন।’ দরুদ শরিফ রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসার শ্রেষ্ঠ নিদর্শন। এর কারণে আল্লাহ তায়ালাও বান্দার প্রতি রহমতের দৃষ্টিপাত করেন। হাদিসে আছে, যারা রাসুলের (সা.) ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করবে কিয়ামতের দিন রাসুল নিজে তার জন্য সুপারিশ করবেন। এ জন্য রাসুলের (সা.) নাম উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে তার ওপর দরুদ পাঠ করার তাগিদ রয়েছে হাদিসে। যারা রাসুলের নাম উচ্চারণের পর ‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’-এর মতো ন্যূনতম দায়িত্বও পালন করেন তাদের হতভাগা বলা হয়েছে। জীবনে অন্তত একবার রাসুলের (সা.) ওপর দরুদ পাঠ করা ফরজ। নামাজের মধ্যে প্রসিদ্ধ দরুদ (দরুদে ইব্রাহিম) শরিফটি পাঠ করা সুন্নত। সাধারণত কোনো স্থানে রাসুলের (সা.) নাম যখন উচ্চারণ করা হলে তার প্রতি দরুদ পাঠ করা ওয়াজিব।

জুমার দিন ও রাতে দরুদ শরিফ পড়া খুবই কল্যাণকর। হাদিসে আছে, ‘তোমরা জুমার দিনে ও রাতে আমার প্রতি বেশি করে দরুদ পড়। যে ব্যক্তি এরূপ করবে আমি কিয়ামতের দিন তার পক্ষ অবলম্বন করব, তার পক্ষে সাক্ষ্য দেব এবং তার জন্য সুপারিশ করব।’ আমাদের কাছ থেকে কিছু পাওয়ার মুখাপেক্ষী রাসুল (সা.) নন। তার ওপর দরুদ পড়তে হবে আমাদের নিজেদেরই স্বার্থে। এর মাধ্যমে উম্মত সাফল্যের সোপান অতিক্রম করতে পারে। দরুদ হলো রাসুলের (সা.) প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন। কিয়ামতের দিন প্রিয় নবীর (সা.) সুপারিশ ছাড়া কেউ মুক্তি পাবে না। এ জন্য তাঁর ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করতে হবে।

(ঢাকাটাইমস/১০ডিসেম্বর/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ইসলাম বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :