‘গণপূর্তের প্রকৌশলীর মুক্তিযোদ্ধা সনদ কেন বাতিল নয়’
গণপূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান ওরফে টিপু মুন্সির মুক্তিযোদ্ধা সনদ কেন বাতিল করা হবে না, এই মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে টিপু মুন্সির নাম গেজেটে অন্তর্ভুক্তিকরণকে কেন বাতিল এবং অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার মেয়াদ কোন কর্তৃত্ববলে বাড়ানো হয়েছে এবং কিভাবে তিনি বর্তমান দায়িত্বে রয়েছেন তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও উপসচিব, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিব, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক ও টিপু মুন্সিকে রুলের জবাব দিতে হবে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. কামাল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
২০১০ সালের ২৫ জুলাই জারি করা গেজেটে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে টিপু মুন্সির নাম উল্লেখ করা হয়। এরপর ২০১৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর তিনি দুই দফায় তিনবার চাকরির মেয়াদ বাড়িয়ে গণপূর্ত বিভাগে কর্মরত আছেন। তার এই মুক্তিযোদ্ধা সদনকে চ্যালেঞ্জ করে গত ৪ ডিসেম্বর একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান ও আইনজীবী মো. তারিক হাসান খান এই রিট আবেদনটি করেন।
আইনজীবী কামাল হোসেন বলেন, ১৯৮১ সালে তিনি যখন চাকরিতে যোগদান করেন তখন তিনি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কোনো কাগজপত্র দাখিল করেননি। ২০১০ সালে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার নাম গেজেটে প্রকাশ করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নাম প্রকাশ হওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধারা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন। এরপর মুক্তিযোদ্ধামন্ত্রী তার বিরুদ্ধে তদন্ত করার নির্দেশ দেন। ওই তদন্তে তার মুক্তিযোদ্ধা সনদটি ভুয়া বলে বেরিয়ে আসে। এরপর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এই জন্য হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১১ডিসেম্বর/এমএবি/জেবি)