‘বিবেকের তাড়নায়’ ছাত্রদল নেতার অনশন, অতঃপর...

বোরহান উদ্দিন, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১১ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৪:৩১

তিনি সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সহ-সম্পাদক পদে আছেন। দলীয় কর্মসূচিতেও থাকেন। নিজের যোগ্যতা ও অবদান অনুযায়ী সংগঠনে মূল্যায়িত হননি এমন খেদ থাকলেও এটা নিয়ে নেই খুব একটা আপত্তি। তবে দীর্ঘদিন ধরে নাম-পরিচয়হীন সহযোদ্ধাদের জন্য তার মন কাঁদে। এমন ভাবনা থেকে রাজপথের কর্মীদের ন্যূনতম পরিচয় পাওয়ার দাবিতে অনশন শুরু করলেন। হুমকি দিলেন কাজ না হলে আরও কঠিন প্রতিবাদের। কিন্তু অনশন বেশিক্ষণ টিকলো না। হাইকমান্ড থেকে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস পেয়েছেন এমন দাবি তার। তাই অনশন আপাতত স্থগিত।

বলছিলাম বিএনপির ভ্যানগার্ডখ্যাত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মামুন খানের কথা। রবিবার ১০টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় চাদর বিছিয়ে অনশনে বসেন এই ছাত্রদল নেতা। পেছনে টানানো ব্যানারে লেখা ছিল- ‘বিবেকের তাড়নায় চলমান অসাংগঠনিক সিস্টেম এর প্রতিবাদে এবং প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আগে তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত রাজপথে থাকা সকল সহযোদ্ধাদের পরিচয় নিশ্চিত করার দাবীতে আজ আমার অনশন করা ছাড়া আর কোনো পথই খোলা নাই। দাবি আদায় না হলে প্রতিবাদের ভাষা আরও কঠিন হবে।’

জানা গেছে, মামুন খান অনশনে বসার কিছু সময় পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নয়াপল্টনে আসেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পরে তিনি লোক মারফত তাকে ডেকে নিয়ে দাবির বিষয়ে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দেন। এতে মামুন অনশন শেষ করেন।

ঢাকাটাইমসকে মামুন খান বলেন, ‘মহাসচিব স্যার আমাকে ডেকে নাস্তা করিয়েছেন। বলেছেন, এটা অসাংগঠনিক কাজ হয়ে যাচ্ছে। ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তোমাদের দাবি নিয়ে চেয়ারপারসনের সঙ্গে কথা বলবো। তিনি আমার কাছে সময় চেয়েছেন দেখি কী হয়। না হলে আবার বসবো।’

দুই বছরমেয়াদী ছাত্রদলের বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি মাসের ১৪ তারিখ। এর আগে ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর রাজীব আহসানকে সভাপতি ও মো. আকরামুল হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫৩ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি ৭৩৪ জন সদস্যকে নিয়ে ওই কমিটি পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়। কিন্তু ২০১৫ সালের সরকারবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির ১৫৩ সদস্যের মধ্যে মাত্র ২০ থেকে ২৫ জন ছাত্রনেতা সক্রিয় ছিলেন। তবে এর বাইরে পদ-পদবিহীন অনেক ছাত্রনেতার ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য।

অনশনের বিষয়ে মামুন খান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমি আন্দোলন সংগ্রামে থেকেও যে পদ পেয়েছি তা নিয়ে দুঃখ নেই। কিন্তু বিভিন্ন ইউনিটগুলোর কমিটি না হওয়ায় যাদের নিয়ে এতদিন মিছিল মিটিং করেছি তারা কোনো পরিচয় পায়নি। যে কারণে বিবেকের তাড়নায় যৌক্তিক দাবি নিয়ে আমি অনশন শুরু করেছি।’

বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এতবড় কমিটি যা সংগঠনের জন্য বার্ডেন। বারবার বলার পরও সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে পেরে উঠছিলাম না। দুই বছরেও একটি সাধারণ সভা করতে পারিনি। কিছু কমিটি হয়েছে তাও আংশিক। ঢাকা কলেজের মতো একটি ইউনিটে মাত্র সাতজন নেতা হয় কিভাবে। আমি সহযোদ্ধাদের জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছি।’

মামুন খানের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের একজন সহ-সভাপতিকে দেখা গেছে। তবে তার নাম প্রকাশ করতে চাননি মামুন। যদিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মামুনের পোস্ট করা ছবিতে ওই ছাত্রদল নেতাকে দেখা গেছে।

(ঢাকাটাইমস/১১ডিসেম্বর/বিইউ/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :