দ্বিতীয় ময়নাতদন্তে দিয়াজের শরীরে আঘাতের চিহ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৬:২২ | প্রকাশিত : ১১ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৫:২৯

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও ছাত্র লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্তে। কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনের পর দিন রবিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই ময়নাতদন্ত হয়।

হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ এই বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে দিয়াজের দাঁত, ভিসেরা ও গলার টিস্যু সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।

বেলা দুপুর আড়াইটার দিকে সোহেল মাহমুদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড দিয়াজের পুনঃময়না তদন্ত শুরু করে। এ সময়ে তাদের সঙ্গে ছিলেন ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক প্রদীপ বিশ^াস ও কবির সোহেল। পরে বেলা তিনটার দিকে ব্রিফ করেন সোহেল মাহমুদ।

সোহেল মাহমুদ জানান, দিয়াজের মৃত্যুর ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করবেন তারা। এরপর পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলবেন তারা।

গত ২০ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেইট এলাকার নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝোলানো অবস্থায় দিয়াজের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার স্বজন ও অনুসারীরা শুরু থেকেই বলে আসছিলেন এই ছাত্রলীগ নেতাকে খুন করা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী পুলিশ কর্মকর্তা দিয়াজের দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেও লিখেছিলেন। তবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর দেয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, দিয়াজের মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা।

এই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন মেনে নেননি দিয়াজের স্বজনরা। তাদের আবেদনের পর কবর থেকে মরদেহ তুলে আবার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয় চট্টগ্রামের একটি আদালত।

শনিবার সকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনের কবরস্থান মরদেহ তুলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসে তদন্তের দায়িত্বে থাকা সিআইডি।

দিয়াজের মৃত্যুর ঘটনায় গত ২৪ নভেম্বর চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শিবলু কুমার দের আদালতে দিয়াজের মা জাহেদা আমিন বাদী হত্যা মামলা করেন। এতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল মনসুর জামশেদ, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মনসুর আলম, আবদুল মালেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু তোরাব পরশ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আরমান, আপ্যায়ন সম্পাদক মিজানুর রহমান, উপ প্রচার সম্পাদক রাশেদুল আলম জিসান, সদস্য আরেফুল হক অপুর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আট থেকে ১০ জনকে আসামি করা হয়।

আদালত সরাসরি মামলা গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্তের আদেশ দিয়ে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়।

ঢাকাটাইমস/১১ডিসেম্বর/এএ/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :