শেষ হলো ছবির হাট

মফিজুর রহমান শিপন,ফরিদপুর
 | প্রকাশিত : ১১ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৬:২০

শেষ হলো ফরিদপুরে ছবি বিক্রির দুই দিনের হাট। শুক্রবার সকাল নয়টা থেকে শুরু হওয়া এই ব্যতিক্রমী ছবির হাট শেষ হয় শনিবার রাত ১০টার দিকে। এই হাটে ১১ জন শিল্পীর পেংটিং করা শতাধিক ছবি প্রদর্শিত হয়।

ফরিদপুর আর্ট ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই দুদিনের এ হাটে ফরিদপুরের প্রবীণ ও নবীন ১১ চিত্রশিল্পীর ছবি প্রদর্শন ও বিক্রি করা হয় সেখানে। দুই দিনের এ হাট সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সকল শ্রেণিপেশার ক্রেতারা ছবি কেনার পাশাপাশি দেখারও সুযোগ পান। অনেকে বাবা-মা এই ভিন্ন ধরনের আয়োজনে নিয়ে আসেন তার প্রিয় সন্তানকে।

আয়োজকরা জানালেন, জেলার চিত্র শিল্পীদের আকা জল রং, তেল রং, এক্রেলিক এবং কালি-কলম এ জাতীয় শতাধিক প্রদর্শনী হয়ে এই ছবির বাজারে। অনেক দশনার্থী মুগ্ধ হয়ে দরদাম করে তার প্রিয় ছবিটা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। ছবির এই হাটে শুরুর দিন থেকেই বিভিন্ন বয়সী দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ছবি হাটের শেষ দিন রাতে শনিবার বিভিন্ন শিল্পীদের সংগীতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ছবির হাটে আগত এক গৃহিনী ক্রেতা সালফিয়া আল খায়ের জানান, এধরনের আয়োজন দেখে আমরা মুগ্ধ। এই হাটে আসার ফলে আমাদের সন্তানদের মাঝে ছবির আগ্রহ করে তুলেছে। প্রতিবছর এ জাতীয় ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন বেশি বেশি করা উচিত ছেলে-মেয়েদের মানসিক বিকাশের জন্য।

ফরিদপুরের ছবির হাটে আসা গৃহিনী শারমিন ইয়াসমিন জানান, এই প্রথম ফরিদপুরে ছবি হাট বসেছে। আমি এই হাটে ছবি দেখতে ও কিনতে এসেছি। তিনি বলেন, সত্যিকারই আমাদের মুগ্ধ করেছে। তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, শুধু দুই দিনের জন্য করলে হবে না, প্রতিবছর আরো বেশি সময় অর্থাৎ ৫-৭ দিনের জন্য হাটের আয়োজন করতে হবে। এতে যারা এই বাজারের আসতে পারেনি তাদেরও আসার সুযোগ থাকবে।

ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অনার্স (ইংরেজি বিভাগ) ফাইনাল ইয়ারের শিক্ষার্থী ফাতেমাতু জোহরা নিপা ছবি হাট প্রসঙ্গে জানান, আমরা এই হাটে বিভিন্ন ধরনের ছবি দেখতে পারছি। প্রাকৃতিক, নিঃস্বর্গ এই জাতীয় ছবি। ছবিগুলো বেশ ভাল লাগছে। তিনি বলেন, শিশু-কিশোরদের মনো বিকাশে ক্ষেত্রে এই জাতীয় আয়োজনের বিকল্প নেই বলে তিনি জানান।

ফরিদপুর আর্ট ইনস্টিটিউটের পরিচালক সাজেদুল ইসলাম তাতা জানান, মহান বিজয়ের মাস ১৬ ডিসেম্বরকে সামনে রেখে ফরিদপুরে এ ছবির হাটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাট-মানে দামাদামি করে জিনিস কেনাবেচা, আমাদের উদ্দেশ্যও তা-ই। আমাদের প্রত্যাশা, এ হাটে ছবি কিনতে বা দেখতে আসবেন সবধরনের মানুষ। এতে মানুষের মাঝে ছবি প্রতি ভালবাস বাড়বে।

(ঢাকাটাইমস/১১ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :