ফুলবাড়িয়ার দুই রাজাকারের বিচার শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১১ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৮:১৮

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার রিয়াজ উদ্দিন ফকির ও ওয়াজ উদ্দিনের বিচার শুরু হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে রবিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বিচার শুরু নির্দেশ দেয়।

বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্য ও সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৩১ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করেছে আদালত।

এদিন রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন ও ঋষিকেষ সাহা। আসামি পক্ষে ছিলেন মুজাহিদুল ইসলাম ও এম এইচ গাজী তামিম।

রেজিয়া সুলতানা জানান, আসামিদের মধ্যে রিয়াজ উদ্দিন গ্রেপ্তার রয়েছেন। তবে ওয়াজ উদ্দিন এখনো পলাতক রয়েছেন। মামলাটির আরেক আসামি আমজাদ আলী গ্রেপ্তারের পর মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইনের ৩(১), ৪(১) ও ৪(২) ধারা অনুসারে হত্যা, গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতন ও ধর্ষণের পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২২ আগস্ট থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত ফুলবাড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তারা অপরাধগুলো সংঘটিত করেন বলে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

পাঁচ অভিযোগ

প্রথম অভিযোগ: ১৯৭১ সালের ২২ আগস্ট ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানাধীন কালাইরপাড়, চকলাইড়িপাড়া গ্রাম ও ফুলবাড়িয়া পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের শহীদ শহীদুল্লাহ মাস্টার, শহীদ আব্দুল মজিদ ও শহীদ জমশেদ আলীকে অপহরণ করে আটক রাখার পর নির্যাতন করে ২৫ আগস্ট গুলি করে হত্যা করে এ রাজাকাররা।

দ্বিতীয় অভিযোগ: ১৯৭১ সালের ২৭ আগস্ট ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানাধীন বিদ্যান্দন ও বেতবাড়ি গ্রামের সুরেন্দ্র চন্দ্র বর্মন, শহীদ হাবিবুর রহমান তালুকদার ও শহীদ জয়গুন নেছারসহ মোট তিনজনকে অপহরণের পর গুলি করে হত্যা।

তৃতীয় অভিযোগ: ১৯৭১ সালের ৫ নভেম্বর ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানাধীন ঋষিপাড়ার মন্দ্রির ঋষিসহ আটজন হিন্দুকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। ঋষিপাড়ার তিনজন হিন্দু নারীকে ধর্ষণও করা হয়।

চতুর্থ অভিযোগ: ১৯৭১ সালের ১৩ নভেম্বর ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানাধীন বেতবাড়ি, ভবাণীপুর, সোয়াইতপুর, এনায়েতপুর, বাঁশদি ও হোরবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকার শহীদ ইসমাঈল হোসেন মাস্টারসহ ৪৩ জনকে অপহরণ করে নির্যাতনের পর গুলি ও জবাই করে হত্যা করা হয়।

পঞ্চম অভিযোগ: ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানাধীন ভালুহজান গ্রামের একই পরিবারের তিন সহোদর, শহীদ আলতাফ আলী মন্ডল, শহীদ তালেব আলী মন্ডল, শহীদ সেকান্দার আলী মন্ডলকে অপহরণের পর নির্যাতন ও গুলি করে হত্যা করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/১১ডিসেম্বর/এমএবি/জেডএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমারকে কারাগারে পাঠালেন আদালত

৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম

বিচারপতির আসনে ছাদ বেয়ে পানি, বিচারকাজ বন্ধ ১৮ মিনিট

আগাম জামিন পেলেন অ্যাডভোকেট যুথিসহ চার আইনজীবী

জামিন নিতে এসে রায় শুনে পালিয়ে গেলেন হলমার্ক কেলেঙ্কারির আসামি

তিন মাসের মধ্যে সালাম মুর্শেদীকে গুলশানের বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ

হলমার্ক কেলেঙ্কারি: তানভীর ও তার স্ত্রীসহ নয়জনের যাবজ্জীবন

সুপ্রিম কোর্ট বারে মারামারি: নাহিদ সুলতানা যুথীর জামিন শুনতে নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ

পি কে হালদারের ১৩ সহযোগীর সাজা বাড়ানোর আবেদন দুদকের

ড. ইউনূসের সাজা ও দণ্ড স্থগিতের আদেশ হাইকোর্টে বাতিল

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :