জোটবদ্ধভাবে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিরুদ্ধে রিট
জোটবদ্ধভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ রবিবার সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন।
সোমবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আবেদনের শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী।
আবেদনে আইন সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, জাতীয় সংসদের স্পিকার, সভাপতি ১৪ দল, সভাপতি ২০ দল, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খাঁন মেমন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব এবং গণফোরামের সভাপতিকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
ইউনুছ আলী আকন্দ ঢাকাটাইমসকে বলেন, নির্বাচনের পরে যদি কোনো রাজনৈতিক দল প্রয়োজনীয় আসন না পায় তাহলে জাতীয় স্বার্থে জোটবদ্ধভাবে সরকার গঠন করতে পারে। কিন্তু নির্বাচনের পূর্বে জোট করা সংবিধান পরিপন্থি। তিনি বলেন, ‘এভাবে নির্বাচন করা অন্যান্য প্রার্থীর বিরুদ্ধে অগ্রাসন এবং হুমকি স্বরুপ। এজন্য নির্বাচনের পূর্বে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করা অবৈধ।’
রিটে বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ৯০এইচ (ই) অনুযায়ী পরপর দুই মেয়াদে সংসদ নির্বাচন না করলে দলের নিবন্ধন বাতিল করতে পারে নির্বাচন কমিশন। জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টি দুই দফা আওয়ামী লীগের পক্ষে তাদের মার্কা দিয়ে নির্বাচন করে। তাই এই দুই দলের নিবন্ধন বাতিল হতে বাধ্য।
এই আইনের ৯০ (এ) ধারা অনুযায়ী রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন করতে হয়। নিজ নিজ দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে। কিন্তু বিগত নবম ও ১০ম নির্বাচনে রাশেদ খান মেনন এবং হাসানুল হক ইনু দুই বার ১৪ দল থেকে নৌকা মার্কায় নির্বাচন করে।
২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষ নিয়ে ২০ দলের অন্যান্য দল নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে। যাহা আরপিও ৯০ (এ) ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
রিট আবেদনে আরো বলা হয়, জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করা সংবিধানের ৭(এ), ১১, ১৯, ২৭, ২৬, ৩১, ৩২, ৩৮, ৭০, ১২৪, ১২৬ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এছাড়া নির্বাচনের পূর্বে জোট করা আরপিও এর ১২, ৯০(এ) এবং ৯০(সি) ধারার সঙ্গেও সাংঘর্ষিক।
(ঢাকাটাইমস/১১ডিসেম্বর/এমএবি/ডব্লিউবি)