মহানবীর (সা.) অনুপম আদর্শ
রাসুলুল্লাহর (সা.) চরিত্র ছিল প্রতিটি মানুষের জন্য অনুপম আদর্শের। ক্ষমা ও সহিঞ্চুতা ছিল তার চরিত্রের বিশেষ দিক। তার ব্যবহারে ছিল অপরিসীম কোমলতা ও স্নিগ্ধতা। পবিত্র কোরানে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহর রহমতে আপনি তাদের প্রতি কোমল-হƒদয় হয়েছেন। আপনি যদি রূঢ় ও কঠিন-হৃদয় হতেন তাহলে তারা আপনার চারপাশ থেকে সরে যেত। কাজেই তাদেরকে ক্ষমা করতে থাকুন এবং তাদের জন্য মাগফিরাত কামনা করুন।’ ক্ষমা ও সহিষ্ণুতার ফজিলত উল্লেখ করে রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, ‘ক্ষমার কারণে আল্লাহ কেবল মর্যাদাই বৃদ্ধি করেন। আর যে আল্লাহর জন্য বিনয়ী হয় আল্লাহ তার সম্মান অবশ্যই বাড়িয়ে দেন।’ ক্ষমা ও সহিষ্ণুতার সৌন্দর্যে রাসুলুল্লাহর (সা.) জীবন ছিল ভরপুর। এ সৌন্দর্য ও আদর্শের দ্বারাই তিনি ভুবন জয় করেছেন। নবীজীর সহনশীলতার বর্ণনা দিতে গিয়ে তার খাদেম হজরত আনাস (রা.) বলেন, আমি দশ বছর ধরে আল্লাহর রাসুলের খেদমত করেছি। এই সুদীর্ঘ সময়ে তিনি আমার কোনো আচরণে বিরক্ত হয়ে কখনো উহ বলেননি এবং কখনো বলেননি যে, অমুক কাজটি কেন করলে? অমুক কাজটি কেন করলে না?
মহানবী (সা.) এর সুদীর্ঘ সান্নিধ্যপ্রাপ্ত হজরত আলি (রা.) তার মহান চরিত্র বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) মন্দের বদলা মন্দের দ্বারা দিতেন না। বরং ক্ষমা ও মাফ করতেন। তিনি কখনো কারো ওপর হাত তোলেননি একমাত্র জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ ছাড়া। কখনো কোনো খাদেম কিংবা মহিলার ওপর হাত ওঠাননি। কোনো ধরনের জুলুমের প্রতিশোধ নিতে কেউ তাকে কখনো দেখেনি, যতক্ষণ না কেউ আল্লাহর নির্ধারিত হুদুদ বা সীমারেখা লঙ্ঘন করেছে। যখন আল্লাহর কোনো হুকুম লঙ্ঘিত হতো তখন তিনি সবচেয়ে বেশি ক্রোধান্বিত হতেন।
(ঢাকাটাইমস/১৩ডিসেম্বর/জেবি)