সেই কথা ভাবলে বুক কেঁপে ওঠে: সঞ্জয়

বিনোদন ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৯:৪৪

বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের বেতাল জীবনযাপনের অনেক তথ্যই বহুবার সংবাদমাধ্যমে তাকে শিরোনাম করেছে। অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে জেলও খেটেছেন তিনি। এগুলো এখন পুরনো খবর। কিন্তু তার আরও এমন কিছু ভয়ানক তথ্য রয়েছে যেগুলো শুনলে শিউরে উঠতে হবে যে কারো। সম্প্রতি তারই কয়েকটা সঞ্জয় নিজেই জানিয়েছেন এক জনসচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে।

ভারতের রাজধানী নায়দিল্লির সচেতনতামূলক ওই অনুষ্ঠানে বোন প্রিয়া ও সহনায়িকা পূজা ভাটের সঙ্গে গিয়েছিলেন নায়ক, সেখানেই তিনি মন খুলে কথা বলেন। যেন বা স্বীকারোক্তির মধ্য দিয়ে প্রায়শ্চিত্য করলেন ‘পাপের’।

কারাগার থেকে আসার পর সঞ্জয়ের মাথায় এখন শোভা পাচ্ছে টিকি। তারও আছে এক কাহিনী। শুনুন সঞ্জয়ের মুখে, ‘এটা রাখার অনুপ্রেরণা আমি পেয়েছিলাম কারাগারে, মিশ্রজির কাছ থেকে। উনি কয়েদিদের চুল-দাড়ি কামাতে আসতেন। একদিন জিজ্ঞাসা করে জানতে পারি- খুনের অপরাধে ওঁর যাবজ্জীবন হয়েছে। উনি জেলেই থাকেন। এভাবে কাজকর্ম করেন। তার পর থেকে যতবার মিশ্রজি দাড়ি কামানোর সময় আমার গলার কাছে ক্ষুরটা নিয়ে আসতেন, আমি ভয়ে কেঁপে উঠতাম।’

এভাবেই অকপট কথোপকথন শুরু জনসচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে! এর ঠিক পরেই ওঠে বেআইনি অস্ত্র রাখার প্রসঙ্গ। কোনো রাখঢাক না করেই সঞ্জয় দত্ত বলতে থাকেন, ‘আমার আগ্নেয়াস্ত্রের প্রতি বরাবর একটা দুর্বলতা ছিল। দাঙ্গার সময় এক প্রযোজক বন্ধুর কথায় একে-৫৬ রাইফেল নিজের কাছে রাখি। ভেবেছিলাম, ওটা নিয়ে খান্ডালা যাব। ফাঁকা জায়গা দেখে দু-একবার চালাব, তার পর ফেলে দিয়ে চলে আসব।’

কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি এই নায়কের। কারণ এর পরপরই তিনি বন্দুকটি নিয়ে পুলিশের কাছে ধরা পড়েন।

আর নেশার কথা উঠতেই সবার আগে স্বীকার করে নিলেন নায়ক- ‘আমি নেশা না করে থাকতেই পারতাম না! একবার বিদেশে যাচ্ছি, সঙ্গে দুই বোন। আমি বুটের ভেতরে লুকিয়ে পাক্কা ১ কেজি কোকেন নিয়ে গিয়েছিলাম। তখন বিমানবন্দরে এত তল্লাশির কড়াকড়ি ছিল না। ফলে আমি বেঁচে যাই! কিন্তু আজ সেই কথা ভাবলে ভয়ে আমার বুক কেঁপে ওঠে। আমি ধরা পড়লে জেল খাটতাম, সে ঠিক ছিল! কিন্তু আমার দুই বোনও তো রেহাই পেত না।’

এভাবেই বিভিন্ন ঘটনার কথা জানান সঞ্জয়। তিনি আরও বলেন, ‘কোকেন মানুষকে হাই করে দেয়! সেই নেশা কাটানোর জন্য আশ্রয় নিতে হয় মদের। মনে আছে, একদিন আমি কোকেনের নেশা করে গভীর রাতে বাড়ি ফিরেছি। তার পর সেই নেশা নামানোর জন্য অনেকটা মদ খাই এবং ঘুমিয়ে পড়ি। ঘুম ভাঙার পরে আমার খুব খিদে পেয়েছিল। তখন বাড়ির কাজের লোকের কাছে কিছু খেতে চাইলে সে জানিয়েছিল, আমি নাকি ঠিক দুই দিন পরে ঘুম থেকে উঠি! সেদিন নিজেকে আয়নায় দেখে মনে হয়েছিল, জীবন ফুরিয়ে আসছে। ভীষণ ভয় পেয়ে যাই। এবং বাবাকে গিয়ে সব কথা বলে নেশা ছাড়ানোর জন্য সাহায্য চাই।’

কেন নেশা করতেন জানতে চাইলে নার্গিস এবং সুনীল দত্তর ছেলে সঞ্জয় বলেন, ‘মেয়েদের সঙ্গে কথা বলার ব্যাপারে আমার একটা জড়তা ছিল। আমি কিছুতেই মেয়েদের সঙ্গে কথা বলতে পারতাম না। একদিন এক বন্ধু ড্রাগ ধরিয়ে দিল। বলল, এটা খেলে নাকি আর জড়তা থাকবে না। সেই শুরু।’

এভাবেই এই অভিনেতা তার পেছনের গল্প বিনিময় করেন অতিথিদের সঙ্গে।

(ঢাকাটাইমস/১৮ডিসেম্বর/এমইউ/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :