শীতের হাওয়ায় কাঁপন লাগছে না পৌষেও

সৈয়দ অদিত, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২০ ডিসেম্বর ২০১৬, ০৮:১১

মানুষের গায়ে শীতের পোশাক উঠেছে বসে, তবে সেগুলো তুলনামূল পাতলা। ঠান্ডা একেবারে পড়েনি-এমনটা বলা যাবে না, তবে যতটা পড়ার কথা, পড়েনি ততটা। ডিসেম্বরে যেভাবে শীত জাঁকিয়ে বসে, তেমনটা দেখা যাচ্ছে না এই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে এসেও। সড়কের ধারে জবুথবু মানুষ চোখে পড়ছে না এখনও।

প্রবাদ আছে, পান, পানি, পিঠা-শীতে লাগে মিঠা। কিন্তু সেভাবে শীত জাঁকিয়ে না বসায় এই মিঠার স্বাদ এখনও পাওয়া যাচ্ছে না।

যারা ফ্ল্যাটে বসবাস করেন, তাদের জন্য রাতের আবহাওয়া একটু জটিলই হয়ে গেছে। ফ্যান ছাড়া যায় না, কিন্তু রাতে কখনও কখনও আবার ঘেমে উঠতে হয়। তখন আবার ভেঙে যাচ্ছে ঘুম।

ডিসেম্বরের ১৯ তারিখে এসেও দেশের সর্বোচ্চ তামপাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খানিকটা অবাক করার মতোই ঘটনা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পারদ বলছে, এই দিন রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ ডিগ্রি, সর্বনি¤œ ১৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গত বছর একই দিন ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২.২ ডিগ্রি এবং সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ৩০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল তেতুলিয়ায় ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গত বছর একই দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে ৯.৯ ডিগ্রি সেলিসিয়াস।

শীতে ছিন্নমূল মানুষের কষ্ট হয় বটে, তারপরও এই মৌসুমটা কম উপভোগ্য নয়। গরম পোহাতে দল বেঁধে গোল হয়ে বসে আগুন জে¦লে উত্তাপ নেয়াও এক আনন্দ। সেই সঙ্গে খেজুরের রস আর শীতের পিঠা-সবই উপভোগ্য হয়ে উঠে।

গত কয়েক মাস ধরেই গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চল বা মধ্যাঞ্চলে এখনও তাপমাত্রা সেভাবে কমেনি।

উত্তরে শীতলতা বেশি

অবশ্য উত্তরের জেলাগুলোতে পরিস্থিতি মধ্যাঞ্চলের মতো নয় এমন নয় বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তারা বলছে, এই অঞ্চলে তামপাত্রা তুলনায় অনেক কম।

গতকাল রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, দিনাজপুরে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যশোরে ১৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তামপাত্রা কম হওয়ায় সেখানে বিশেষ করে নি¤œ আয়ের মানুষরা দুর্ভোগে পড়েছে। তবে গত বছর এই সময় উত্তরের জনপদেও তাপমাত্রা এখনকার চেয়ে এক থেকে তিন ডিগ্রি কম ছিল।

শৈত্যপ্রবাহ আসছে মাসের শেষ দিকে

চলতি মাসের শেষ দিক দিকে সারাদেশেই শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে বলে ধারণা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান ঢাকাটাইমকে বলেন, ‘সবেমাত্র শীতের মৌসুম শুরু হল, তবে ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ দেশের বিভিন্ন স্থানে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হবে। এখন শেষ রাতে নদীর অববাহিকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

এই আবহাওয়াবিদ জানান, শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা আট থেকে ১০ ডিগ্রি, মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হলে ছয় থেকে আট ডিগ্রি, তীব্র হলে চার থেকে ছয় ডিগ্রিতে নেমে আসবে তাপমাত্রা। আর বরাবরের মতো উত্তরাঞ্চলের তামপাত্রাই বেশি কমবে।

ঢাকাটাইমস/২০ডিসেম্বর/এসএ/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

ফিচার এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :