চাঁদপুরে আমনের বাম্পার ফলন

প্রকাশ | ২০ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৫:৩৬

শওকত আলী, চাঁদপুর

এবার চাঁদপুর জেলার মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন চলছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ। ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-কৃষাণিরা।

ধানের বাম্পার ফলনে তাদের মুখে ফুটেছে হাসি। এ বছর সরকারের কৃষি বিভাগের সঠিক দিক-নির্দেশনায় কৃষকরা লাভবান হয়েছেন।

এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ কম হওয়ায় এবং পোকা দমনে পাচ্চিং ও হরম পদ্ধতি ব্যবহার করে কৃষকরা সুফল পেয়েছেন। এসবের কারণে এবার আমনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে এমন ধারণা করছে কৃষি বিভাগ।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবার মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে ৮ হাজার ২শ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিনা-৭, ২২, ২৩, ৪৬ ও বিআর ৪৯, ৫১ ও ৫২ জাতের ধান রয়েছে। এবার এই প্রকল্পে ৪৫ হাজার ১শ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

পোকা দমনে এখানে এখন পাচিং পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারণ এতে করে কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় না, তাই উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত সর্বাধিক সহযোগিতা দিয়ে কাজ করেছেন বলে জানান কৃষি বিভাগ।

এবার ফলন ভালো হওয়ায় কৃষক খুশি, আবার ভালো দামও পাচ্ছেন তারা। ৭শ থেকে ৮শ টাকা মণে কৃষকরা ধান বিক্রি করতে পারছেন। যা গতবছরের তুলনায় ১শ’/১৫০ টাকা বেশি। কৃষকরা এ ধান চাঁদপুর, কুমিল্লা দাউদকান্দি, ভৈরবের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছেন।

মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প এলাকার এক কৃষক সুলতান আহমেদ জানান, এবার বিভিন্ন প্রজাতির ধান চাষ করে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় পাচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের বাম্পার ফলন পেয়েছি।

মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম মজুমদার জানান, এবছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে, আমাদের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র অর্জিত হবে।

(ঢাকাটাইমস/২০ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)