নানা সংকটে শতবর্ষী ফেনী বালিকা বিদ্যালয়
শতবছর ধরে এ জনপদে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে জেলায় একমাত্র নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। সময়ের সাথে শিক্ষার্থী সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি সুযোগ-সুবিধা। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষকই স্বীকার করলেন শিক্ষক আর ভবন সংকটের কথা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৯১০ সালে প্রতিষ্ঠিত ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি ২০১০ সালে শতবছর পার করেছে। শুরু থেকে ফলাফলের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সুনামও দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিদ্যালয়টিতে ইংরেজি বিষয়ে ৬ শিক্ষকের পদে রয়েছেন মাত্র দুইজন। একজন দিবা ও অন্যজন প্রভাতী শাখায় ক্লাস নিচ্ছেন। ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ৪ শিক্ষকের স্থলে কর্মরত রয়েছেন ২ জন। হিসাব বিজ্ঞান ও ফিন্যান্স বিষয়ে কোন শিক্ষক নেই। মানবিক শাখায় ভূগোল বিষয়ে কোন শিক্ষকই নেই। ভূতবিজ্ঞান বিষয়ে ৪ শিক্ষকের পদে রয়েছেন ১ জন। ইসলাম শিক্ষা বিষয়েও রয়েছেন ১ জন। এখানে ৩ জনের পদ শূন্য। শরীর চর্চা দুইজনের স্থলে রয়েছেন ১ জন। জীব বিজ্ঞান বিষয়ে দুইজনের ক্ষেত্রে রয়েছেন ১ জন। তথ্যপ্রযুক্তি ও লাইব্রেরিয়ান বিষয়ে পদ সৃষ্টি হয়নি। শিক্ষক সংকটের কারণে অনেক ক্লাসই হয় না। বিদ্যালয়টিতে ১ হাজার ৮শ শিক্ষার্থী রয়েছে। একইসাথে রয়েছে শ্রেণি কক্ষ সংকটও।
জানা গেছে, সুষ্ঠুভাবে পাঠদানের লক্ষ্যে ৩-৪ বছর আগে প্রভাতী শাখা চালু করা হয়। প্রভাতীতে ২০ জন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও রয়েছে ৬ জন। এজন্য তারা প্রতিনিয়ত হিমশিম খাচ্ছেন।
একাধিক শিক্ষক জানান, শিক্ষার্থী বৃদ্ধির তুলনায় শিক্ষক বৃদ্ধি পাচ্ছে না। প্রশাসনিক ভবন, শহীদ সেলিনা পারভীন ও সরলা দেবী ভবন দেখলে শ্রেণিকক্ষের সমস্যা মনে হবে না। কিন্তু বাস্তবে সমস্যা হচ্ছে।
অভিভাবকরা বলেন, শিক্ষক সংকটের ফলে তাদের সন্তানরা প্রাইভেট ও কোচিংমুখী হচ্ছে। প্রতি বিষয়ে ১ হাজার টাকা খরচ হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত নাথ ঢাকাটাইমসকে বলেন, বিদ্যালয়ের যথেষ্ট জায়গা রয়েছে। ৩য় তলা বিশিষ্ট একটি নতুন ভবন নির্মাণ করা হলে শ্রেণি কক্ষ সংকট কমে যাবে।
শিক্ষক সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ও মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২১ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)
মন্তব্য করুন