শাবি বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে উপাচার্য অবরুদ্ধ

শাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৮:২৯ | প্রকাশিত : ২১ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৬:৫৬

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ১৭ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করার প্রতিবাদে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আমিনুল হক ভুঁইয়া তাঁর কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছে আন্দোলনকারী সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বুধবার দুপুর ২টা থেকে প্রশাসনিক ভবন-২ এর কার্যালয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।

এর আগে ১২টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূলফটকের সামনে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আন্দোলনকারীরা।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর পুলিশ রাতে শাহপরাণ, বঙ্গবন্ধু ও সৈয়দ মুজতবা আলী হলে অভিযান চালিয়ে ধারালো অস্ত্র, হাতবোমা ও গুলি উদ্ধার করে। বুধবার সকালে হল বন্ধের ঘোষণা আসে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র সারওয়ার তুষার বলেন, ‘উপাচার্য পরিকল্পিতভাবে আমাদের অন্দোলনকে দমানোর জন্য ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করে বন্ধ করে দিয়েছেন। আমরা গত ৪ ডিসেম্বর থেকে আমাদের যৌক্তিক দাবি আদায়ে আন্দোলন করে আসছি। উপাচার্য এর সুষ্ঠু সমাধান না করে এই নোংরা কৌশল অবলম্বন করেছেন।’

গত ২৬ নভেম্বর ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতের দায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী আল আমিনসহ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ইশরাত ইমতিয়াজ হৃদয়কে আটক করে জালালাবাদ থানা পুলিশ।

আটক হওয়ার পর পুলিশ প্রশাসন জালিয়াত চক্রের বিরুদ্ধে মামলা করলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো মামলা করেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের মামলা না করায় এবং জালিয়াত চক্রের মূল হোতাদের আড়াল করার প্রতিবাদে গত ৪ ডিসেম্বর থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্দোলন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

এ বিষয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন বলে অভিযোগও তুলেন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

সাংস্কৃতিক কর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনকে অন্যদিকে প্রবাহিত করতে উপাচার্য ক্যাম্পাসে দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধিয়ে ক্যাম্পাসকে বন্ধ ঘোষণা করে দেন। যতক্ষণ পর্যন্ত উপাচার্য বের হয়ে ক্যম্পাস সচল করার ঘোষণা না দেবেন ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা তাকে অবরুদ্ধ করে রাখব।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ব্যাপারে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক আমিনুল হক ভুঁইয়ার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। শিক্ষার্থীদের অন্দোলনের ব্যাপারে সহকারী প্রক্টর জাহিদ হাসান বলেন, ‘আমরা অবস্থার পর্যবেক্ষণ করছি। জরুরি মিটিং চলছে। মিটিং শেষে সিদ্ধান্ত নেবো।

(ঢাকাটাইমস/২১ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/জেডএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :