বান্দরবানে তিন দিন রাজপুণ্যা মেলা শুরু

প্রকাশ | ২১ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৭:০৭ | আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৭:১৩

বান্দরবান প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বান্দরবানে তিন দিনব্যাপী জুম খাজনা আদায় অনুষ্ঠান ১৩৯তম রাজপুণ্যা মেলা শুরু হয়েছে। বুধবার সকালে ঐতিহ্যের ধারাবাহিক নিয়ম অনুযায়ী রাজ পোশাকে সজ্জিত হয়ে তরবারি হাতে বাদ্যের তালে তালে উজির-নাজির ও সৈন্য-সামন্ত নিয়ে রাজবাড়ি মাঠে প্রবেশ করেন বোমাং রাজা প্রকৌশলী উচপ্রু চৌধুরী। পরে পুরাতন রাজবাড়ি মাঠে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি।

এছাড়া রাজ পরিবারের সদস্য ছাড়া  বিশেষ অতিথি ছিলেন- চট্টগ্রাম জিওসি জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার, ৬৯ পদাতিক ব্রিগেডের ব্রিগেড কমান্ডার জোবায়ের ছালেহীন, পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, রাঙ্গামাটি ও খাগরাছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

এসময় রাজা সিংহ কচিত সিংহাসনে বসে ১০৯টি মৌজার হেডম্যান, কারবারিসহ প্রজাদের কাছ থেকে অনুষ্ঠানিক খাজনা (কর) আদায় করেন। এসময় বোমাং সার্কেলের মৌজা হেডম্যান, কারবারিসহ প্রজারা খাজনার নগদ টাকা, জুমে উৎপাদিত নানান শষ্য ও বিভিন্ন উপঢোকন রাজার হাতে তুলে দেন।

৩দিন ব্যাপী রাজপুন্যাহ মেলা উপলক্লে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও থাকছে সার্কাস, মৃত্যুকূপ, হাউজি খেলাসহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

রাজার হাতে খাজনা তুলে দিতে এবং রাজাকে এক নজর দেখতে জেলার বিভিন্ন উপজাতীয় পল্লী থেকে হাজার হাজার নারী পুরুষ বান্দরবানে অবস্থান নিয়েছেন। এছাড়াও  রাজপুন্যাহ মেলা দেখতে বান্দরবানে ভিড় জমিয়েছেন হাজার হাজার দেশি-বিদেশি পর্যটক।

প্রসঙ্গত জুম খাজনা আদায়ের জন্য বোমাং রাজারা ১৮৭৫ সাল থেকে ‘রাজপুণ্যা উৎসব’ করে আসছে। তবে ১৯৯০-এ দশকে ১৪তম বোমাং রাজা মংশৈপ্রু চৌধুরী মৃত্যুর পর দুই বছর রাজপুণ্যা হয়নি।

(ঢাকাটাইমস/২১ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)